হোম > ছাপা সংস্করণ

রমজানের শেষ দশকের ফজিলত

মুফতি আবু দারদা

আল্লাহ তাআলা কিছু নির্বাচিত সময়কে সেরা ঘোষণা দিয়েছেন। সময়গুলো আল্লাহর সঙ্গে বিপুল মুনাফায় ব্যবসা করার ভরা মৌসুম। সেই সময়গুলোর একটি পবিত্র রমজান মাস। রমজানের বাকি দিনগুলোর চেয়ে এই ১০ দিন অনেক বেশি বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। রমজানের শেষ দশকের রাতগুলো যেমন শ্রেষ্ঠ, তেমনি দিনগুলোও ফজিলতে পূর্ণ। 

বেশি বেশি ইবাদত
রমজানের শেষ দশকের সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো নবী কারিম (সা.) এই দিনগুলোতে এত বেশি ইবাদত করতেন, যা অন্য কোনো সময় করতেন না। মুসলিম শরিফে আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশকে এত বেশি ইবাদত করতেন, যা অন্য দিনগুলোতে করতেন না।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৭৫) 
অন্য হাদিসে হজরত আলী (রা.) বলেন, ‘রমজানের শেষ দশকে রাসুল (সা.) (ইবাদত-বন্দেগি করার নিমিত্তে) তাঁর পরিবারবর্গকে (রাতে) জাগিয়ে দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৭৯৫; মুসনাদে আহমাদ: ৬ / ২৫৬) 

ইতিকাফে বসা
এই দশকে মহানবী (সা.) যে ইবাদতটির প্রতি সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হতেন তা হলো, ইতিকাফ। আল্লাহর ইবাদতের জন্য সব ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে এবং লাইলাতুল কদরের খোঁজ করার উদ্দেশ্যে এই দশকে তিনি মসজিদে অবস্থান করতেন। শেষ দশকে ইতিকাফ করা নবীজির সুন্নত। জীবদ্দশায় একাধিকবার তা পালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীরাও ইতিকাফ করেছেন। হজরত আয়েশা (রা.)-এর বর্ণনায় এসেছে, নবী (সা.) ইন্তেকাল অবধি প্রতিবছরই ইতিকাফ পালন করেছেন। তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ পালন করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০২৬; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৭২)

শবে কদর অন্বেষণ
রমজানের শেষ দশকের অন্যতম সেরা ফজিলত হলো, এই দশকেরই কোনো একটি রাত পবিত্র শবে কদর। আল্লাহ তাআলা শবে কদরের অনেক বৈশিষ্ট্য ও ফজিলতের কথা বলেছেন। যেমন:

  • এই পবিত্র রাতেই পুরো কোরআন মজিদ প্রথম আসমানে নাজিল হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি লাইলাতুল কদরেই এটি (কোরআন) নাজিল করেছি।’ (সুরা কদর: ১) 
  • পবিত্র ওই রাতকে হাজার রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আখ্যা দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। এরশাদ হয়েছে, ‘লাইলাতুল কদর হাজার রাতের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা কদর: ৩) 
  • অন্য সুরায় এই রাতকে ‘বরকতময় রজনী’ বলেছেন আল্লাহ তাআলা। তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমি এটি (কোরআন) বরকতময় রজনীতে নাজিল করেছি।’ (সুরা দুখান: ৩) 
  • এই পবিত্র রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে নেমে আসেন, এমনকি স্বয়ং জিবরাইল (আ.)-ও। এই রাতে বিপুল পরিমাণে বরকত নাজিল হয়। সঙ্গে বিপুলসংখ্যক ফেরেশতা নেমে আসেন। 
  • এই পবিত্র রাতকে ‘সালাম’ তথা শান্ত ও নিরাপদ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শয়তান এই রাতে কোনো অনিষ্ট ও মন্দ কাজ করতে পারে না। এ ছাড়া ইবাদতের বিনিময়ে আল্লাহর ক্রোধ ও শাস্তি থেকে বান্দা নিরাপদ থাকেন।

লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশকেরই কোনো একটি রাত। আয়েশা ও ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর খোঁজো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০২০) এটি আয়েশা (রা.)-এর বর্ণিত হাদিসের ভাষ্য।

শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর একটি হওয়ার ব্যাপারটি অধিকতর দৃঢ়ভাবে প্রমাণিত। আয়েশা অন্য হাদিসে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর খোঁজো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০১৭) 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ