বান্দরবান সদরের কুহালং ইউনিয়নের ভাঙ্গামুড়াপাড়া বৌদ্ধবিহারে ‘বোধিজ্ঞান জাদীর অভিষেক’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে বৌদ্ধবিহার প্রাঙ্গণে এক ধর্মীয় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন এলাকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এ প্রার্থনায় অংশ নেন এবং বুদ্ধমূর্তি ও নগদ টাকাসহ নানা ধরনের দান করেন।
অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বোধিজ্ঞান জাদীর উৎসর্গ করেন জেলার রোয়াংছড়ির কেন্দ্রীয় তেজবন বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত উ উইচারিন্দা মহাথের। এ সময় ভাঙ্গামুড়াপাড়া বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ উঞানা মহাথের, ক্যামলং জাদীর বিহারাধ্যক্ষ মহাপাইঞা ভিক্ষু, বালাঘাটা বিমুক্তি সুখ বৌদ্ধবিহারের প্রতিষ্ঠাতা ও বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত উসুন্দরানন্দ মহাথের উপস্থিত ছিলেন।
এতে আরও ছিলেন কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মংপু মারমা, সাবেক চেয়ারম্যান সানুপ্রু মারমা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান অংচাহ্লা মারমা, ভাঙ্গামুড়াপাড়া বৌদ্ধবিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাচমং মারমা এবং সাধারণ সম্পাদক সাথুই অং মারমাসহ বিভিন্ন বিহারাধ্যক্ষ ও দায়ক-দায়িকারা।
তেজবন বৌদ্ধ বিহারাধ্যক্ষ উইচারিন্দা মহাথের বলেন, ‘বৌদ্ধধর্ম অহিংসা ও পরমত সহিষ্ণু। জীব হত্যা মহাপাপ। মানুষের প্রতি ভালোবাসা, পরোপকারের মনোভাব সবার মধ্যে জাগ্রত করতে হবে। হানাহানি, ঝগড়া-বিবাদ, অন্যের ক্ষতির কথা মনেও আনতে নেই। সবাই যদি অহিংস নীতি অনুসরণ করে চলে, তাহলে পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রেও শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।’
১৯০৬ সালে বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের ভাঙ্গামুড়াপাড়ায় বৌদ্ধবিহার প্রতিষ্ঠা করা হয়।