বৃদ্ধ ফাতেমা বেগম। ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালান। সুমন আকন্দ নামে ১৭ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন এক সন্তান রয়েছে তাঁর। কখনো তালাবদ্ধ ঘরে আবার কখনো শিকলে বেঁধে রাখা হয় সুমনকে । অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখের বেশি টাকা খরচ হয়েছে ফাতেমার। তবে টাকার অভাবে বর্তমানে থমকে আছে ছেলের চিকিৎসা।
শুক্রবার বিকেলে গাইবান্ধার জামালপুরে চিকনী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সুমনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। ফাতেমা বেগম ঘরে বসে কাঁদছেন।
জানা যায়, ওই গ্রামের দিনমজুর আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম। দাম্পত্য জীবনে ১০ টি সন্তান জন্ম দেন তিনি। এর মধ্যে সাতজন মারা যায়। ভ্যানে কাঁচামালের ব্যবসা করেন তাঁর স্বামী সিদ্দিক আকন্দ। তা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলছিল। এর মধ্যে বড় ছেলে ফারুক মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে কয়েক বছর আগে নিখোঁজ হয়। এখনো তাঁর খোঁজ মেলেনি। মেজো ছেলে সুমনও বেশ কিছুদিন আগে মানসিক ভারসাম্য হারায়। ছেলেকে সুস্থ করতে দীর্ঘ ৯ বছর নানা জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করেছেন ফাতেমা। কিন্তু তাতে সুফল পাওয়া যায়নি। ছেলেকে চিকিৎসায় করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে ফাতেমার পরিবার।