Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

হাসপাতালে শয্যা নেই বারান্দায় চিকিৎসা

সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি

হাসপাতালে শয্যা নেই বারান্দায় চিকিৎসা

খাগড়াছড়িতে হঠাৎ ঠান্ডাজনিত সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে ভর্তি অধিকাংশ রোগী নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। শিশু ও বয়স্করা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এতে হাসাপতালে শয্যা না পেয়ে বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী।

গত দুই সপ্তাহে জেলায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৭ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রিপল বাপ্পী চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে খাগড়াছড়িতে গতকাল সোমবার ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সারা দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে পাহাড়ে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এতে নিউমোনিয়া, জ্বর ও ডায়রিয়ার আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

গতকাল খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২০ জন। এ ছাড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২১। ঠান্ডায় আক্রান্ত শিশুদের বেশির ভাগের বয়স ৬ থেকে ১৮ মাস।

এদিকে জনবলসংকটের কারণে বাড়তি রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে কোনো শয্যা খালি নেই। অনেক অভিভাবক দেরিতে বাচ্চাদের হাসপাতালে নিয়ে আসছেন। এতে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

জেলার মাটিরাঙ্গা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা এক অভিভাবক বলেন, ‘বাচ্চার বয়স ১২ মাস। ঠান্ডার পরপরই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখন চিকিৎসা চলছে।’

রাঙামাটির সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট থেকে আসা এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমার বাচ্চার জ্বর, পেটব্যথা। আমাদের এলাকায় হাসপাতাল নেই। তাই এখানে চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসেছি।’

শীতের কারণে নবজাতক ও শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে অনেক শিশু সিভিয়ার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আশঙ্কাজনকভাবে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। অনেক শিশুকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় সদর হাসপাতালে আনতে সময় বেশি লাগছে।

জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, ‘প্রতিদিন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের মধ্যে ৫০ জন রোগী হাসপাতালের ইনডোরে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। অধিকাংশ রোগী ঠান্ডাজনিত সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত। বয়স্ক রোগীরাও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। পাহাড়ে শীতের সময় ঠান্ডার প্রকোপ বেশি।’

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন নূপুর কান্তি দাশ জানান, ‘নিউমোনিয়ার কারণে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের আরও সতর্ক থাকতে হবে; বিশেষ করে শিশুদের শীত থেকে সুরক্ষা দিতে হবে। গরম কাপড় পরানোর পাশাপাশি শিশুদের মাথা ও পা ঢেকে রাখতে হবে। এতে শিশুরা ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা পাবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ