দিনাজপুরের হিলিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর আবারও বেড়েছে শীতের মাত্রা। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে বাড়তি শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সকালে সূর্য ওঠার পর দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর শীত বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত শীতের কারণে যাত্রী না পাওয়ায় আয় কমেছে ভ্যান ও রিকশাচালকদের।
শহরের ভ্যানচালক খালেদ হোসেন বলেন, ’ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পরে শীত বেড়ে যাওয়ায় ভ্যান চালাতে কষ্ট হচ্ছে। হাত–পা একেবারে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে, বাতাস ধরছে, নাক–মুখ দিয়ে পানি ঝরছে। সকালে ভ্যান নিয়ে বের হলেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। ফাঁকা ভ্যান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, এতে করে আয় রোজগার কমে গেছে।’
পথচারী ইয়াসিন মোল্লা বলেন, ’ গত কয়েক দিন ধরেই হিলিতে গরমের প্রভাব ছিল। কিন্তু সোমবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় ঠান্ডার প্রভাব আগের তুলনায় বেশি মনে হচ্ছে। এতে করে আমাদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।’
হিলি বাজারের পোশাকের দোকানের কর্মচারী নুরুল আমিন বলেন, ’ হিলিতে শীতের মাত্রা বাড়ায় আমাদের কাজে আসতে সমস্যা হচ্ছে। সাইকেল চালিয়ে কাজে আসার সময় শীতে আমাদের হাত–পায়ে কাঁপুনি ধরে যায়।’
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত সোমবার দেশের কিছু অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের কারণে আবারও তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। গতকাল (মঙ্গলবার) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি আজকের পর থেকে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আবারও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে করে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। কিন্তু এরপর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।
