Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

সরকারি খাদ্যগুদামে ধান-চাল সংগ্রহ

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

সরকারি খাদ্যগুদামে ধান-চাল সংগ্রহ

রংপুরের বদরগঞ্জে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান ও চাল সংগ্রহে ধীরগতি দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলায় ৪১০ মেট্রিক টন ধান এবং ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বাজারে দাম বেশি হওয়ায় গুদামে ধান বিক্রি করতে কৃষকের অনীহা। তবে ধান সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলেও চাল সংগ্রহে ব্যর্থ হবেন না বলে দাবি করেন খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা। এর আগে গত ৭ মে থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয় এবং এটি চলবে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত।

অন্যদিকে চালকল মালিকেরা বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে ৪০ টাকা কেজি দরে চাল দিতে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু সরকারের নির্ধারিত দরের চেয়ে বাজারে চালের দর বেশি। তাই গুদামে এখনো চাল দেইনি।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘যে বরাদ্দ পেয়েছি ধান কিনে নিজের মিলে ছাঁটাই করলে চালের কেজি অনেক বেশি পড়ে যাবে। তাই অপেক্ষায় আছি ধানের দর কমে কি না দেখার জন্য।’

জানা গেছে, উপজেলায় সরকারি গুদামে চাল দিতে ৪৫ জন চালকল মালিকের সঙ্গে খাদ্য বিভাগের চুক্তি হয়। এবার ৪০ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ৯৪ মেট্রিক টন চাল এবং ২৭ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ১৪১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

হাটখোলাপাড়া গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘খোলা বাজারোত ধান বেচাই প্রতি মণ (২৮ কেজি) ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দামে। ধান ব্যবসায়ীরা ধুলা-বালুসহ ধান কিনছেন। ব্যবসায়ীর গোডাউনোত ধান ঢালি দিয়া সঙ্গে সঙ্গেই হাতে টাকা পাচ্ছি। আর সরকারি গুদামোত ধান বেচপার গেইলে আগোত কয়টা ধান নিয়া মেশিনোত ঢুকায়। এরপর অফিসার মেশিন টিপ দিয়া বলেন, ধান বাড়িতে নিয়া আরও শুকান, ভালোভাবে বাতাস করি ধুলা পাতান ফ্যালে দিয়া শুধু ঝনঝনা ধান নিয়া আইসেন।’

আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘সরকারি গুদামোত ধান বেচপার গেইলে খালি ঝামলায় পড়তে হয়। এর দরকার কী? হামার বাজারোত বেচায় ভালো।’

আরেক কৃষক রাশেদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘নিজের ধান সরকারি গুদামোত ঢুকাতে গিয়ে অফিসারোক স্যার স্যার কইতে কইতে মুখের ফ্যাপনা বাইর করিবার নাগে। আবার ঘুষও দিবার নাগে। এরপর ধানের টাকা নিতে ব্যাংকোত গিয়া অ্যাকাউন্টও খুলবার নাগে। সেখানে নমুনিরও ছবি-আইডি কার্ড নাগে। হামরা কৃষক কি এত আইনকানুন মানি গুদামোত ধান দিতে পারি! এর চাইতে ব্যবসায়ীদের কাছে ধান বিক্রি করা অনেক ভালো। তাদের খবর দিলে তারা বাড়ি থাকি ধান নিয়ে যায়। কোনো ঝামেলা নেই। দামও ভালো পাওয়া যায়, ভ্যান ভাড়াও নাগে না।’

খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল ইসলাম মামুন বলেন, ‘উপজেলায় নিবন্ধিত কৃষকের মধ্যে লটারি করে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকদের ধান গুদামে সংগ্রহ করা হচ্ছে। ধান বিক্রির টাকা তাঁদের ব্যাংক হিসাবে দেওয়া হচ্ছে।’

আশরাফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘কাউকে হয়রানি করছি না। তবে সরকারি ম্যানুয়ালের বাইরে ধান ও চাল কেনার সুযোগ নেই আমার। কৃষকেরা খোলা বাজারে ধানের দর পাওয়ায় সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করেন।’

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তরিকুল ইসলাম বলেন, চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁদের বরাদ্দের চাল গুদামে দিতে হবে। যাঁরা চুক্তি ভঙ্গ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ