Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

১৩৭ স্কুলে শিক্ষকের ১৭১ পদ শূন্য

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি 

১৩৭ স্কুলে শিক্ষকের ১৭১ পদ শূন্য

রংপুরের মিঠাপুকুরে ১৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ১৭১টি পদ শূন্য। এ ছাড়া দুটি বিদ্যালয়ে কোনো সহকারী শিক্ষকই নেই। এতে অভিভাবকেরা সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

জানা গেছে, মিঠাপুকুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৭৫টি। এগুলোর মধ্যে ১৩৭টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ১৭১টি পদ শূন্য। পদগুলোর মধ্যে বুজরুক নুরপুর উত্তরপাড়া ও তাহিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের সব পদ শূন্য। বিদ্যালয় দুটিতে সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ চারটি হলেও কোনো শিক্ষক নেই।

বুজরুক নুরপুর উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুস ছালাম বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন অবস্থা ভাবতে অবাক লাগে। শিক্ষক ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। ধার করা এক শিক্ষক বিদ্যালয়টি পরিচালনা করছেন। এ ছাড়া পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। বিদ্যালয়গুলো হলো আলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তনকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরেকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিক বেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খিয়াড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

হরেকৃষ্ণপুর ও খিয়াড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ চারটি। কিন্তু কর্মরত আছেন একজন করে শিক্ষক। ৩৬টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের দুটি করে পদ শূন্য রয়েছে।

তাহিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়ালিদা আক্তার বানু জানান, এই বিদ্যালয়ে তিনিসহ অন্য স্কুলের আরেক শিক্ষক অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন।

বুজরুক নুরপুর উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাতেন জানান, তিনি বিশেষ ছুটিতে আছেন। ওই বিদ্যালয়ের অনুমোদিত পাঁচটি পদই শূন্য রয়েছে। অন্য বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক না থাকায় অভিভাবকেরা ছেলেমেয়েদের এ বিদ্যালয়ে পড়ান না। দিন দিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। বর্তমানে ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী আছে। তিনি দ্রুত শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের দাবি জানান।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। একাধিক বিদ্যালয়ে দুজন করে শিক্ষক কর্মরত আছেন। তিনি সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এপ্রিল মাসে  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদের সংখ্যা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। শতভাগ শূন্য পদের বিদ্যালয় দুটিতে অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশব্যাপী সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ