করোনার বাধার সঙ্গে যোগ হয়েছিল বন্যা। তাই দুই দফায় পিছিয়ে যায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো এবার সকাল ১০টার পরিবর্তে বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হবে। প্রথম দিন হবে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১ অক্টোবর। এরপর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। চলতি বছরের এ পরীক্ষায় বসছে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।
সাধারণত এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পিছিয়ে যাওয়া এ পরীক্ষা গত ১৯ জুন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিলেটসহ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক বন্যা দেখা দিলে গত ১৭ জুন পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। এর আগে গত বছর নয় মাস পিছিয়ে নভেম্বরে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তিন বিষয়ে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়।
আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার সব বিষয়ের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ২ ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট এবং রচনামূলক প্রশ্নের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় থাকবে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি তপন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন। যে পদ্ধতিতে আমরা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি, সেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। কেউ গুজবে কান দেবেন না।’
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন কমেছে। গতবার পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৪ জন। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী। ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান—এসব বিষয়ের পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।