Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

মাজারে হামলা কেন

সম্পাদকীয়

মাজারে হামলা কেন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রথম কয়েক দিন দেশের বেশ কিছু জায়গায় ডাকাতি হয়েছে। তারপর শুরু হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে হামলার ঘটনা। এরপর শুরু হলো ধারাবাহিকভাবে মাজার ভাঙা। কেন ঘটনাগুলো ঘটছে, তার উৎস খোঁজা জরুরি। ভারত উপমহাদেশে প্রথম পীর-দরবেশদের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার শুরু হয়। এই পীর-দরবেশরা নানা সময়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এই উপমহাদেশে এসেছিলেন। তাঁরা মারা যাওয়ার পর তাঁদের কবরগুলো মাজার হিসেবে পরিচিতি পায়।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের একটি অংশ তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা এবং পীরের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য মাজারে যায়। কিন্তু গত এক দশকের বেশি সময় ধরে এ দেশে সালাফি ও ওয়াহাবি তরিকার চিন্তার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। এই তরিকার মানুষ মাজারে প্রার্থনা করাকে বেদাত বলে মনে করে। তাদের মতে, ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে, কবরের পর সেটিকে পাকা করে গম্বুজ করা বৈধ নয়, শরিয়তে এর অনুমতি নেই। কিন্তু আমাদের দেশে অনেকে মাজারে গিয়ে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করেন, আবার কেউ কেউ আধ্যাত্মিক গানের মাধ্যমে স্রষ্টার কাছে পৌঁছাতে চান। এই তরিকার মানুষ সুফি নামে পরিচিত। অভিযোগ উঠেছে, সালাফি ও ওয়াহাবি তরিকার মানুষ রাজনীতির পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাজারে হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। 

মুসলমানরা ধর্ম পালনের জন্য বিভিন্ন তরিকায় বিভক্ত। কেউ যদি শুধু নিজের পথটাকেই সঠিক বলে মনে করে, তবেই বিপত্তি ঘটে। কোন ধারা ঠিক আর কোন ধারা বেঠিক এবং সেটা নির্ণয়ের মাপকাঠি কী, তা নিয়েও তর্কবিতর্কের শেষ নেই। কিন্তু সবার একই উদ্দেশ্য—নিজের মনোবাসনা পূরন করার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা। কে, কীভাবে সৃষ্টিকর্তার কাছে তাঁর আরজি পেশ করবে, তা নিয়ে নানা মত আছে। কিন্তু পরকালে সৃষ্টিকর্তার বিচারের ভার এই সময়ে কেউ কেউ হাতে তুলে নিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে।  

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে একের পর এক মাজারে হামলা-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ধারাবাহিকভাবে সিলেট, গাজীপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালী, ঢাকাসহ আরও কয়েকটি জেলায় মাজারে হামলা চালানো হয়েছে। কোনো কোনো আলেম-ওলামা মাজারে হামলার বিপক্ষে মত দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানের মাজারে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এক চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাজারে হামলা ঠেকানো ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। শুধু কি নির্দেশনা দিলেই মাজারে হামলা বন্ধ হবে? নির্দেশনার পর কি মাজারে হামলাকারী দুর্বৃত্তদের কাউকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে? সেটা করা না হলে এই দুর্বৃত্তরা সুযোগ পেলেই আবার মাজারে অরাজকতা চালাবে। তা প্রতিরোধ করতে হবে সরকারকেই। অরাজকতা তৈরি করছে যারা, তাদের ব্যাপারে কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ