সিলেট প্রতিনিধি
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দিন আহমেদ, ডা. শ্যামল কান্তি লালসহ ৯ এপ্রিলের শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গণহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়। নাগরিক মৈত্রীর আয়োজনে নগরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
নাগরিক মৈত্রীর আহ্বায়ক সমর বিজয় সী শেখরের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিমের পরিচালনায় পুষ্পস্তবক অর্পণের আগে সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আজাদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী, আইডিয়ার নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন সুমন, বিশিষ্ট আইনজীবী মনির উদ্দিন, কিডনি ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর ফরিদা নাসরিন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ডা. শামসুদ্দিন আহমদ, ডা. শ্যামল কান্তি লালসহ অন্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সে সময় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিয়েছেন। এ সময় তাঁরা ব্লাড ব্যাংকের পাশাপাশি তৈরি করেছিলেন বিশেষ মেডিকেল টিম। ১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল হাসপাতালে আক্রমণ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নৃশংসভাবে অন্তত সাতজনকে হত্যা করে। ইতিহাসে এটি প্রথম কোনো হত্যাকাণ্ড যেখানে কর্তব্যরত অবস্থায় চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্টদের হত্যা করা হয়। কিন্তু ৫১ বছর পরও স্বীকৃতি পাননি অকুতোভয় সেই মানবতার যোদ্ধারা। তাই আমাদের একটিই দাবি, একাত্তরের ৯ এপ্রিলের হত্যাকাণ্ডে ডা. শামসুদ্দিন, ডা. শ্যামল কান্তি লালসহ যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের সবাইকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদস্য ডা. নাজরা চৌধুরী, প্রজেক্ট ম্যানেজার সুমন বাসিত, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহিবুর রহমান, যুব ইউনিয়ন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দাস খোকন, প্রভাষক রাজীব চৌধুরী, আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটন, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি দীপঙ্কর সরকার, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিক, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফুল আলম নাসির প্রমুখ।