ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় দিন-রাতে মাইকিংয়ের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ মানুষ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের প্রচারে ব্যবহৃত মাইকের অতিরিক্ত শব্দে সৃষ্টি হচ্ছে শব্দদূষণ।
উপজেলায় বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগীদের আকৃষ্ট করতে মাইকের মাধ্যমে গরুর মাংস, এলইডি বাল্ব, প্যাথলজিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রচার চালানো হয়। এ ছাড়া সড়কে যানবাহনগুলো অতিমাত্রায় হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে মাত্রাতিরিক্ত ও অসহনীয় শব্দদূষণে অতিষ্ঠ উপজেলার বাসিন্দারা। বিশেষ করে শিশু, অসুস্থ রোগী ও পরীক্ষার্থীদের বেশি সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মঈনুদ্দিন অভিযোগ করেন, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাইকে উচ্চ শব্দে প্রচার। এ ছাড়া আছে সড়কে বিভিন্ন যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্নের অতিমাত্রায় ব্যবহার।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা অনুযায়ী হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকার নির্ধারিত কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সকল জায়গায় মোটরগাড়ির হর্ন বাজানো বা মাইকিং নিষিদ্ধ। বিধিমালায় এসব থাকলেও, মানছেন না কেউ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শব্দদূষণের কারণে রোগীদের কানে সমস্যা হয়। এ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত শব্দের কারণে মানুষের শ্রবণ ও স্মরণ শক্তি কমে যায় এবং নিদ্রাহীনতা হতে পারে।
ইউএনও সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ করলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’