নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চার শ্রীলঙ্কানের যেন পুনর্মিলনী হয়ে গেল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মাঝ উইকেটে। গামিনি ডি সিলভা, চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, হাসান তিলকারত্নের সঙ্গে চায়িক হাথুরুসিংহে। শেষ নামটি অপরিচিত ঠেকলেও ‘হাথুরুসিংহে’ পদবি দেখে নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে তিনি কে। হাথুরু এবার এসেছেন তাঁর ছেলেকে নিয়ে। গতকাল ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই মাঠে এসেছিলেন তিনি।
মাঠে চায়িকের হাতে ল্যাপটপ দেখা গেল। হাথুরু-পুত্র ঢাকায় ঘুরতে এলেও তাঁর বাবার এখন ভাবনাজুড়ে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ। বড় দুটি টুর্নামেন্টের আগে দলের এক-দুটি পজিশন ছাড়া বাকিগুলো অনেকটাই নিশ্চিত। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় থাকা ৭ নম্বর পজিশন বা ফিনিশারের ভূমিকার প্রার্থীও কমিয়ে এনেছেন নির্বাচকেরা। জাতীয় দলের স্কিল ক্যাম্পে থেকে বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ইয়াসির আলী রাব্বি ও নুরুল হাসান সোহান। আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, সৌম্য সরকার ও শামীম পাটোয়ারি।
এঁদের থেকেই কেউ ১৫ জনের দলে থাকবেন। কাউকে আবার রিজার্ভ বেঞ্চেও রাখা হতে পারে। আগের দিন ফিরে গতকালই মিরপুরে এলেন হাথুরুসিংহে। গতকাল মাঠে এসে প্রথম বৈঠক করলেন নির্বাচকদের সঙ্গে।
ততক্ষণে আগের দিনের মতো রঙ্গনা হেরাথের স্পট বোলিং ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ-তাইজুল ইসলামরা। তবে গতকাল এই ক্লাসে যোগ দিলেন মাহমুদউল্লাহ। কয়েক বছর ধরে এই অলরাউন্ডারকে বোলিংয়ে আগের মতো অবদান রাখতে দেখা যায় না। বিসিবির মেডিকেল বিভাগে শারীরিক পরীক্ষা ও ফিটনেস পরীক্ষায় ভালো স্কোর নিয়েই উতরে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়ের অনুশীলনের পাশাপাশি বোলিংয়ে নজর দিয়েছেন তিনি। বোলিং করেছেন বেশ কিছুক্ষণ। কিন্তু বড় টুর্নামেন্টে তাঁর বোলিংয়ের ভূমিকাও যেকোনো মুহূর্তে প্রয়োজন হতে পারে দলের।
তাইজুল-মাহমুদউল্লাহদের পর তিন বাঁহাতি অলরাউন্ডার-আফিফ, সৌম্য ও শামীমকে নিয়ে কাজ করেন হেরাথ। দুই স্পিনারের সঙ্গে সৌম্য ছিলেন পেসার। যদিও পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড ফেরার কথা আজ। তবু হেরাথের কাছ থেকে স্লোয়ার, সুইং ও স্পট বোলিংয়ের দীক্ষা নেন সৌম্য। সাত নম্বর পজিশনের জন্য তাঁকেও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচকদের সঙ্গে মিটিং শেষে মাঠের মাঝ দিয়ে হাথুরু চলে গেলেন ইনডোরে। বোলিং অনুশীলন শেষে আফিফ-শামীমরাও চলে গেলেন হাথুরুর ক্লাসে। সেখানে সাত থেকে লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের পরীক্ষা নিলেন এ শ্রীলঙ্কান কোচ।