বিলাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির বিলাইছড়িতে বোরোখেতে বাদামি ঘাসফড়িংয়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে ধানখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। স্থানীয় কৃষকদের কাছে বাদামি ঘাস ফড়িং ‘কারেন্ট পোকা’ নামে পরিচিত।
কৃষকেরা জানান, পোকাটি প্রথমে ধানের গোড়ায় আক্রমণ করে। আক্রমণ শুরু হলে ধানগাছ পুরোটা মরে যায়। খড় হয়ে যায়। ফলে ধান পাওয়া যায় না। সব চিটা হয়ে যায়।
কৃষক ত্রিশংকর চাকমা (৩২) নামের এক কৃষক জানান, তিনি প্রায় ১ একর ৬০ শতক জমিতে ধান চাষ করেছেন। প্রায় অর্ধেক জমির ফসল নষ্ট করে দিয়েছে বাদামি ঘাস ফড়িং।
তিনি জানান, পোকাটি অপরিণত বয়সে দেখতে সাদা। বয়স হলে সবুজ রঙের হয়। আবার পরিণত বয়সে কালচে রং ধারণ করে। ডানা গজায়। খেতে সামলে কামড় দেয়।
বাঙ্গালকাটা গ্রামের কৃষক উজ্জল চাকমা (৩০) বলেন, ধানগাছের গোড়ায় পোকাটি আক্রমণ শুরু করে। পোকাগুলো যেখানে বসে একেবারে ধান শেষ করে দেয়। এক স্থানে শেষ হলে পরে আবার অন্যস্থানে ছড়িয়ে পড়ে। কীটনাশক দিলেও এরা মরে না। স্থানীয়ভাবে কারেন্ট পোকা বলে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুবেল বড়ুয়া বলেন, ‘এটি বাদামি ঘাস ফড়িং। উপজেলার কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের ভালাছড়ি ব্লকে পোকাটি দেখা গিয়েছে। ধানখেতের অনেক ক্ষতি করেছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এই পোকার আক্রমণ রোধে কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে ধান কাটা প্রায় শেষের পথে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুবেল বড়ুয়া আরও বলেন, ‘কৃষকদের পরামর্শ দিলেও তাঁরা লাইন চিং পদ্ধতিতে ধান রোপণ করেন না। ফলে পোকা ধানগাছের গোড়ার ঝোপের আড়ালে অবস্থান ও বাসা বাঁধার সুযোগ পায়। লাইন চিং না থাকায় ধানখেতে নিখুঁতভাবে কীটনাশক প্রয়োগ করাও সম্ভব হয় না। এতে যেকোনো ক্ষতিকর পোকা দমন কঠিন হয়ে পড়ে।’