শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি
ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। দফায় দফায় গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির পরও থেমে নেই খামারিদের গরু পালনের কাজ। এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন পশু-হাটে শুরু হয়েছে কোরবানির পশু বিক্রি।
এমনি একজন খামারি মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের বয়রা গ্রামের খামারি রাজু মিয়া। তিন বছর আগে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে কিনে আনেন একটি ষাঁড়। গায়ের রং মিচমিচে কালো থাকায় ষাঁড়টির নাম দেন কালো পাহাড়। বর্তমানে যার মূল্য হাঁকানো হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
গতকাল শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, ৩০ মণ ওজনের বিশাল এ ষাঁড়টি দেখতে আশপাশের এলাকা থেকে লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন রাজু মিয়ার বাড়িতে। কালো পাহাড় ছাড়াও রাজু মিয়ার খামারে রয়েছে আরও কয়েকটি বড় গরু। এগুলোকে কেন্দ্র করেই স্বপ্ন তাঁর।
রাজু মিয়া বলেন, কালো পাহাড়কে খড়, ভুসি, চালের গুঁড়া, ফিড, ঘাসসহ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। সঙ্গে আছে তাঁর আদর ও ভালোবাসা।
কালো পাহাড়কে দেখতে আসা আশরাফ সরদার বলেন, আশপাশের এলাকায় কালো পাহাড়ের মতো এত বড় গরু তাঁর চোখে পড়েনি। কালো পাহাড় এবার কোরবানির বাজার কাপাবে বলে ধারণা তাঁর।
উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা মদন কুমার রায় বলেন, সম্পূর্ণ স্বাভাবিক খাবার দিয়ে পশুটাকে বড় করা হয়েছে। এ ছাড়া এবারের কোরবানির জন্য শালিখাতে যথা সংখ্যক পশু আছে।