বরগুনার তালতলীতে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানের ব্যানারে প্রধান অতিথি স্থানীয় সাংসদ দেবনাথ শম্ভুর নাম না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিজয় দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। আমন্ত্রণপত্রে স্থানীয় সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে প্রধান অতিথি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবি উল কবিরকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু অনুষ্ঠানের ব্যানারে তাঁদের নাম ব্যবহার করা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওছার হোসেনকে সভাপতি হিসেবে ব্যানার করা হয়। সকালের অনুষ্ঠানে এ ব্যানার ব্যবহার করা হয়নি।
আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে ব্যানারে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির নাম দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে অনুষ্ঠান বর্জন করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
তালতলী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মু. আ. মোতালিব বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদেরও অবমূল্যায়ন করেন ইউএনও। এ জন্য আমরাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে চলে আসছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন, ‘ব্যানার না দেখে সকালের সকল অনুষ্ঠান শেষ করে বাসায় এসেছি। বিকেলের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগেই সংবাদ পাই, ব্যানারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে প্রধান অতিথি হিসেবে রাখা হয়নি। তাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সবাই মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বর্জন করে।’
ইউএনও কাওসার হোসেন বলেন, ‘অনুষ্ঠান বর্জনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। প্রধান অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্যের নাম থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অনুপস্থিত থাকায় কোনো অতিথির নাম লেখাই ছিল না।’