ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শাহজালাল মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জায়গা দখল করতে প্রবাসী দুই ভাইয়ের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক পরিবারের সদস্য বানু বেগম গত বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেলা শহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন পরিবার দুটি। শাহজালাল মিয়া পরিবার দুটিকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তাঁদের বসতঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। বাড়ি ফিরলে তাঁদের খুন করে লাশ গুমের হুমকিও দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রসুলপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী লাল চান মিয়ার স্ত্রী বানু বেগমের ক্রয় করা জায়গায় একসঙ্গে বসবাস করতেন তাঁর দেবর মালয়েশিয়া প্রবাসী আমিন মিয়ার পরিবার। ৪-৫ মাস আগে ক্রয় করা ২৩ শতক জায়গার এক অংশে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন বানু।
এ সময় অপর দেবর শাহজালাল মিয়া ৫-৬ জনকে সঙ্গে নিয়ে ভবন নির্মাণের কাজে বাধা দেন। এর কারণ জানতে চাইলে বানুর কাছে ছয় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন শাহজালাল। এ ঘটনার পরপরই বানু জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহজালালের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহজালাল গত ২৯ জুলাই তাঁর সহযোগীদের নিয়ে প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রী বানু ও তাহমীনা বেগমকে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় শাহজালাল বানুর ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে ২ লাখ টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালংকার ও ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
পরে বানু ও তাহমিনাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেন পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে তাঁরা বানুর বড় বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
বানু বেগম বলেন, ‘শ্বশুরের কাছ থেকে আমি ২৩ শতক জায়গা নিজের নামে ক্রয় করেছি। দেবর শাহজালালের বসতঘরও আমার কেনা জায়গায় পড়েছে। কিন্তু সেই এখন আমাকে ভবন নির্মাণে বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি করেছে। মারধর করে আহত করেছে। পরে আমাদের বসতঘরে তালা ঝুলিয়েছে। এখন হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।’
এই ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রশিদ বলেন, ঘটনার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’