Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

কিশোরগঞ্জ সড়কে ডাকাত-আতঙ্কে রাতে যান চলাচল বন্ধ

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ 

কিশোরগঞ্জ সড়কে ডাকাত-আতঙ্কে রাতে যান চলাচল বন্ধ

কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাতায়াতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া-মটখলা-টোক এবং কিশোরগঞ্জ-কটিয়াদী-টোক আঞ্চলিক সড়ক দুটি। সম্প্রতি দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জেরে এখানে ডাকাত আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। যানবাহনে ডাকাতি প্রায় প্রতি রাতের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। যে কারণে রাতে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের মতো ছোট যান চলাচল বন্ধ থাকছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাকুন্দিয়া থানার ঘাট থেকে টোক ব্রিজ, পাকুন্দিয়া মঠখলা-বটতলা থেকে ড্রেনের ঘাট মোড়, মঠখলা থেকে কটিয়াদী যাওয়ার পথে মান্দারকান্দি স্কুল, বেতাবাজার বিলপাড়, কটিয়াদী হেলিপ্যাড ও পাকুন্দিয়া থেকে মটখলা বাজারের আগে ছোট পুলের কাছে গাছের গুঁড়ি ও পিলার ফেলে যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি করা হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কোথাও ৮-১০ জনের দল, কোথাও ৩০ জনের বেশি মিলে ডাকাতি করে।

জেলা শহরের শোলাকিয়া এলাকার বাসিন্দা কামরুলের মাইক্রোবাস দুই সপ্তাহ আগে রাত পৌনে ১টার দিকে ডাকাতের কবলে পড়ে। তিনি জানান, মঠখলা বাজারের আগে একটি তেলের পাম্পের কাছে ট্রাক্টর ফেলে তাঁর গাড়ি আটকে ডাকাতি করা হয়। দলটিতে ২৫-৩০ জন ছিল বন্দুক দেখিয়ে ও গলায় ছুরি ধরে চালক ও যাত্রীদের প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় আরও পাঁচটি গাড়িতে লুট করা হয় বলে জানান কামরুল।

সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের বাসিন্দা সোহেল জানান, তিনি ২০ আগস্ট বিমানবন্দরে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে টোক ব্রিজের কাছে পাঁচটি গাড়ি থেমে থাকতে দেখে ভাবলেন, কোনো দুর্ঘটনা ঘটল কি না। তা দেখতে নিজের গাড়ি থামাতেই আগের গাড়িগুলোর মতো তিনিও ডাকাত দলের কবলে পড়েন। ডাকাতেরা নারী যাত্রীর কানের দুল, সোনার চেন, মোবাইল ফোন, টাকা এবং পুরুষ যাত্রীর মোবাইল, মানিব্যাগ লুট করে নিয়ে যায়।

এ নিয়ে কথা হলে কিশোরগঞ্জ মাইক্রো স্ট্যান্ড সঞ্চয় সমিতির সহসভাপতি নুরুজ্জামান মঞ্জু ও রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম রুমান জানান, ডাকাতির আতঙ্ক থাকায় মালিক ও চালকদের সঙ্গে আলোচনা করে রাত ১১টার পর অলিখিতভাবে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে র‍্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পাকুন্দিয়া উপজেলার টোক ব্রিজ ও আশপাশে ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় টহল বৃদ্ধি, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্টসহ গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। এ ছাড়া ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ও মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘আমি ৩১ আগস্ট এখানে যোগদান করেছি। আমি রাতেও মনিটরিং করি। হাইওয়ের বিষয়েও কাজ করি। বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ