আকাশ আহমেদ, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কেএফডি জুট মিলস বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে দরপত্র যাচাই শেষে ইজারা দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। কেএফডি ছাড়াও দেশের আরও তিনটি জুট মিলসকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার হাফিজ জুট মিলসও রয়েছে। ৬ জানুয়ারি এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে রাঙ্গুনিয়ার কেএফডি জুট মিলস পাচ্ছে ইউনিটেক্স কম্পোজিট এবং হাফিজ জুট মিলস পাচ্ছে সাদ মুসা গ্রুপ।
রাঙ্গুনিয়ায় অবস্থিত কেএফডি জুট মিলসের অন্তর্ভুক্ত ইউনিট রয়েছে চারটি। সেগুলো হচ্ছে কর্ণফুলী জুট মিলস, কর্ণফুলী কার্পেট ফ্যাক্টরি, ডেভেলপমেন্ট অব ডেকোরেটিভ ফেব্রিক্স ও ডাইভারসিফাইড ডেকোরেটিভ ফেব্রিক্স। জানা গেছে, চট্টগ্রাম জোনে আরও তিনটি জুট মিল ইজারা দেওয়া হবে। সেগুলো হচ্ছে এম এম জুট মিলস, সীতাকুণ্ডের আর আর জুট মিলস এবং কুমিরার গুল আহমেদ জুট মিলস।
জুট মিলগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে ২০২১ সালের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করার পর দেশি-বিদেশি ৫৯টি প্রতিষ্ঠান তাতে সাড়া দেয়। সেই দরপত্র যাচাই-বাছাই শেষে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঁচটি জুট মিল ইজারা দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রামের দুই প্রতিষ্ঠান কেএফডি ও হাফিজ জুট মিলস ছাড়া দেশের বাকি তিনটি জুট মিল হচ্ছে সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুট মিলস, খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলস ও নরসিংদীর বাংলাদেশ জুট মিলস। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জাতীয় জুট মিলস ইজারা পাচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্যের জুট রিপাবলিক, ক্রিসেন্ট জুট মিলস ইজারা পাচ্ছে মিমো জুট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ জুট মিলস ইজারা পাচ্ছে বে ফুটওয়্যার লিমিটেড। তবে ইজারাদারদের এসব জুট মিল পরিচালনার জন্য ২০টি শর্ত মানতে হবে। ইজারার টার্মস অব রেফারেন্সে (টিওআর) এসব শর্ত দিয়েছে বস্ত্র মন্ত্রণালয়। তাতে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যতম শর্ত হলো প্রতিটি মিল প্রথমবার ৫ থেকে ২০ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হবে, ইজারা গ্রহণকারী লিজের সম্পত্তি সাব-লিজ, মর্টগেজ দিতে পারবে না।
কেএফডির প্রকল্পপ্রধান নুরুল আলম ভূঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেএফডি ৬ জানুয়ারি লিজ দেওয়া হবে বলে জেনেছি। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে অফিশিয়ালি কোনো কাগজপত্র আসেনি।’