নতুন বাদাম উঠতে দেরি হওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাদামের আমদানি বেড়েছে। বন্দর দিয়ে বাদাম আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়েছে। অপরদিকে খুশি বন্দরে কর্মরত শ্রমিকেরা।
হিলি স্থলবন্দরে শ্রমিক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বন্দর দিয়ে বেশির ভাগ পাথর আমদানি হয়। কিন্তু এসব পাথর মেশিনের সাহায্যে লোড আনলোড করার কারণে আমাদের কাজ তেমন নেই বললেই চলে। এর ওপর আগে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হতো এখন সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। সম্প্রতি বন্দর দিয়ে বেশ পরি মানে বাদাম আমদানি হচ্ছে এতে করে আমাদের কাজ যেমন বেড়েছে, তেমনি আয় বাড়ায় ডাল ভাত খেয়ে চলতে পারছি।’
স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, দেশীয় বাদামের মৌসুম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নতুন বাদাম উঠতে আরও মাস ২ / ৩ সময় লাগবে। এতে করে দেশের বাজারে সরবরাহ কম থাকার কারণে দেশে বাদামের চাহিদা তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত চানাচুর ফ্যাক্টরিগুলোতে এর চাহিদা রয়েছে। বাদামের সেই চাহিদা মেটাতে আমদানিকারকেরা ভারত থেকে বাদাম আমদানি শুরু করছেন। বন্দর দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে নিয়মিতভাবে বাদাম আমদানি হচ্ছে। তবে এখন এর পরিমাণটা বেড়েছে। ভারত থেকে প্রতি টন বাদাম ৬৫০ থেকে শুরু করে ৭৫০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে এসব বাদাম সরবরাহ করছেন আমদানিকারকেরা।
হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান বলেন, বন্দর দিয়ে আগে মাঝে মধ্যে এক দু ট্রাক করে ভারত থেকে বাদাম আমদানি হতো। তবে গত ৩ নভেম্বর থেকে বন্দর দিয়ে বাদামের আমদানি বেড়ে গেছে। বন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪৭৩ টন বাদাম আমদানি হয়েছে। যা থেকে সরকারের শুল্ক বাবদ রাজস্ব আয় হয়েছে ৮২ লাখ টাকার মতো।