বিনোদন ডেস্ক
শাফিনের সঙ্গে আমার পরিচয় ৪৫ বছরের বেশি সময় আগে। ১৯৭৯ সালে মাইলস ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফরিদ রশিদের সঙ্গে দেখা করতে এসে শাফিনের সঙ্গে পরিচয়। সে সময় প্রথম তাকে দেখি। এরপর ১৯৮১ সালে মাইলসে যোগ দেয় শাফিন। আমি যোগ দিই ১৯৮২ সালে। গান গাওয়ার পাশাপাশি তখন রিদম গিটার বাজাত শাফিন। সেই সময় গানের কর্ড নিয়ে অনেক আলোচনা হতো আমাদের। তখন থেকেই আমাদের সখ্য শুরু। আমার সুর করা বেশির ভাগ গান শাফিনের গাওয়া। যেমন ‘চাঁদ-তারা’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘জ্বালা জ্বালা’সহ জনপ্রিয় অনেক গান। তাঁর কণ্ঠটা ছিল একটু অন্য রকম। আমিও তার কণ্ঠ বুঝে গানের সুর ও কম্পোজ করার চেষ্টা করতাম। সে খুব ভালো গায়ক ছিল। তাকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন দেখতাম, অনেক পরিকল্পনা করতাম। সুন্দর সুন্দর গান তাকে বানিয়ে দিতাম।
সময়-অসময়ে একসঙ্গে কাটাতাম আমরা। বাসায় খুব কম থাকা হতো আমাদের। বেশির ভাগ সময় কাটত প্র্যাকটিস প্যাড ও স্টুডিওতে। ব্যান্ড নিয়েই ছিল আমাদের সব চিন্তাভাবনা। এমনও হয়েছে—একই দিনে দু-তিনটি শো করেছি। তখন তো শাফিনকেই সব গান গাইতে হতো। দেখা যেত, লন্ডন থেকে ট্যুর শেষ করে ঢাকায় পৌঁছে শো করে আবার বাই রোডে ভারতের শিলিগুড়ি চলে গেছি। সেই দিনগুলো খুব মনে পড়ছে।
শাফিন একটানা মাইলসে ছিল না। কয়েকবার মাইলস ছেড়ে দিয়েছিল সে। তার শখ ছিল অন্যান্য ধরনের গান করবে। আবারও ফিরে আসে। সর্বশেষ ২০২১ সালে মাইলস থেকে চলে যায়। শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।