সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট নগরীতে যানজট ও সড়কে বিশৃঙ্খলার অন্যতম কারণ রিকশা ও ইজিবাইক। এসব অবৈধ যানের বিরুদ্ধে আজ থেকে কঠোরভাবে অভিযানে নামছে সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
এর আগে উচ্চ আদালতের নির্দেশে কয়েকবার অভিযান চালানো হলেও সুফল মেলেনি। তবে এবার জোরেশোরেই মাঠে নামছে সিসিক। এ জন্য বেশ কয়েক দিন ধরে নগরীতে মাইকিং করা হচ্ছে।
সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দিনে দিনে নগরীর রাস্তায় বেড়ে চলেছে অবৈধ ব্যাটারিচালিত যানবাহন। যে কারণে, সিসিকের রাস্তার শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। যানজট কমাতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। বেপরোয়া চলাচলে ঘটছে দুর্ঘটনাও। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই উচ্চ আদালতের নির্দেশে সিসিকের ভেতরে এই বাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, আজ থেকে নগরীর কোথাও অবৈধ ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না।
প্রায় ৮ বছর ধরে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, টমটম, রিকশায় সয়লাব ছিল সিলেট। আর এসব যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকায় গড়ে উঠেছে চাঁদাবাজ চক্র। এই চক্রের বদৌলতে বিদ্যুতের এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও পুলিশের পেটেও যাচ্ছে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা।
মহানগরীতে সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, টমটম চলাচল বন্ধে গত ৮ নভেম্বর থেকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে অভিযানে নামে সিসিক। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নগরীতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা রয়েছে। প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিসহ পাড়া-মহল্লায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ বাহনগুলো।
নগরীর শিবগঞ্জ, টিলাগড়, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা, লিচু বাগান, সুবিদবাজার, আখালিয়া, নোয়াপাড়া, উপশহরসহ অধিকাংশ এলাকায় চলছে ব্যাটারিচালিত অবৈধ বাহন।
সিসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান খান বলেন, আদালতের আদেশেই নগরীর ভেতরে ব্যাটারিচালিত কোনো বাহন চলতে দেওয়া হবে না। কেউ আইন না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এর আগে একাধিকবার ট্রাফিক পুলিশ ও সিসিক অভিযান চালালেও এসব অবৈধ বাহন বন্ধে কোনো কাজ হয়নি। তবে আজ থেকে কঠোর অভিযান চালানো হবে। যাতে করে অবৈধ এসব যান সড়কে না চলতে পারে।
এদিকে নগরীতে রিকশা, ইজিবাইকসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন, রুট পারমিট, লাইসেন্স দেওয়াসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন করছে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ।