Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

সাভারে তাণ্ডবে ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার  ও রংপুর প্রতিনিধি

সাভারে তাণ্ডবে ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকার

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকার কাছের জনপদ সাভারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হামলার ঘটনায় অন্তত ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত এক সপ্তাহে এ ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে সাভারের সহিংসতা পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম। ভাঙচুর ও হামলার শিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গতকাল বৃহস্পতিবার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সহিংসতায় সাভারে এক হাজারেরও বেশি কাঁচামালবাহী ট্রাকের পণ্য নষ্ট হয়েছে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা এসব ট্রাক গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। ফলে পথেই পচে গেছে কোটি কোটি টাকার আম ও সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের কাঁচা পণ্য। এ ছাড়া অন্তত ৩০০টি যানবাহন ভাঙচুর ও ১৫টি যানবাহনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে একাধিক সরকারি স্থাপনা ও বিপণিবিতানে। সব মিলিয়ে এক সপ্তাহে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ইউএনও রাহুল চন্দ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলা এক সপ্তাহের সহিংসতায় সাভারে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক বলেন, সাভারে ২০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। অনেক গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। পরিকল্পনা করে ৩ থেকে ৪ হাজার লোক তিন দিন ধরে এ নৈরাজ্য চালিয়েছে।

এদিকে রংপুরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার ঘটনায় প্রায় ১১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান। তিন দিনের তাণ্ডবে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, হাসপাতাল, যানবাহনসহ নানা অবকাঠামো ও স্থাপনা।

 জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আনুমানিক ১১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তরগুলো থেকে এসব তথ্য পাওয়া। এসব ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রংপুরের পরিবেশ এখন শান্ত। তারপরও আমরা সজাগ রয়েছি।’

এ নিয়ে কথা হলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রংপুরে বিগত কয়েক দিনে অত্যন্ত দুঃখজনক পরিস্থিতির অবতরণ ছিল। পরিকল্পিতভাবে দুষ্কৃতকারী জামায়াত-বিএনপির সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন পুলিশি স্থাপনাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা চালিয়েছে। পুলিশকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে। সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির বিপুল ক্ষয়ক্ষতি করেছে। তাদের আমরা শনাক্ত করেছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, এ পর্যন্ত কোতোয়ালি ও তাজহাট থানায় ১২টি মামলা দায়ের হয়েছে। নাশকতায় জড়িত থাকা ৫০০ জনকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ