Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

পিছিয়ে নেই নারীরা

নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা

পিছিয়ে নেই নারীরা

তুলনামূলকভাবে কম হলেও সাহিত্যচর্চায় নারীরা পিছিয়ে নেই। পাঠকমহলে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছেন অনেক নারী লেখক। বইমেলাতেও প্রতিবছর নারী লেখকদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। প্রতিষ্ঠিতদের পাশাপাশি নবীন নারী লেখকদের নিয়েও আগ্রহ বাড়ছে পাঠকদের।

শুধু লেখালেখিতে নয়, প্রকাশনা শিল্পেও ভূমিকা রাখছেন নারীরা। এবারের অমর একুশে বইমেলায় অংশ নিয়েছেন অন্তত ১৫ নারী প্রকাশক। এ ছাড়া খণ্ডকালীন বিক্রয়কর্মী হিসেবেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন নারীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থায় সম্পাদনানহ বিভিন্ন দায়িত্ব কৃতিত্বের সঙ্গে পালন করছেন একাধিক নারী। সব মিলিয়ে বইমেলায় প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রেও নারীরা পিছিয়ে নেই।

নারী দিবসের আগের দিন গতকাল এ নিয়ে কথা হ

খ্যাতিমান লেখক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, নারী দিবস আমার কাছে আলাদা কোনো গুরুত্ব বহন করে না। কারণ নারীরা এখন সবক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছেন। সেই হিসেবে বইমেলাতেও তাদের অংশগ্রহণ কম নয়। মেলায় নারীদের প্রচুর বই প্রকাশিত হচ্ছে। তাঁদের আলাদা প্রকাশনা সংস্থাও রয়েছে, যেখানে তাঁরা সফল। সব মিলিয়ে বাংলা একাডেমি আয়োজিত এই বইমেলা আরও আগে থেকেই নারীদের জন্য প্রতিনিধিত্বমূলক হয়ে উঠেছে।

মেলায় অংশ নেওয়া ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল), সুবর্ণ, জাগৃতির মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি যুক্ত, প্রত্যয়, অধ্যয়ন, পেন্ডুলাম, অভ্র, জলদি, ঝুমঝুমির মতো প্রকাশনা সংস্থাগুলো পরিচালিত হচ্ছে নারীদের নেতৃত্বে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ উত্তরাধিকার সূত্রে, কেউ বইপত্রের প্রতি ভালোবাসা থেকে, আবার কেউ একেবারেই পেশাদারি চিন্তা থেকে প্রকাশনায় যুক্ত হয়েছেন। নিজেদের চিন্তা-চেতনা এবং পরিকল্পনা দিয়ে পাঠকমহলেও স্বতন্ত্র স্থান অর্জন করেছেন তাঁরা।

সুবর্ণ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদ মাহফুজুল হকের মৃত্যুর পর প্রখ্যাত এই প্রকাশনা সংস্থাটির দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁর মেয়ে শাহরিন হক। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, নারী হিসেবে প্রকাশনায় এসেছি বইয়ের প্রতি ভালোবাসার টানে।

বইমেলায় ঐতিহ্য প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নে খণ্ডকালীন বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন ইডেন কলেজের ছাত্রী তানিয়া আহমেদ। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) এই নারী জানালেন, তাঁর মতো অনেক নারীই খণ্ডকালীন এ কাজে সম্পৃক্ত। বইমেলায় কাজ করতে এসে নারী হিসেবে কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়নি।

বইমেলার পরিবেশ কতটা নারীবান্ধব এ নিয়েও কথা হয় দর্শনার্থীদের সঙ্গে। সার্বিকভাবে মেলার পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বেশির ভাগ নারী। তবে মেলার অস্থায়ী ফিডিং সেন্টারের পরিবেশ নিয়ে আক্ষেপ জানালেন খিলগাঁও থেকে মেলায় আসা দিলরুবা আকতার। তিনি বলেন, ফিডিং সেন্টার রাখায় মেলার পরিবেশ আরও নারীবান্ধব হয়েছে। কিন্তু ভেতরের পরিবেশ অগোছালো এবং অনিরাপদ। এ ক্ষেত্রে আরও তদারকি প্রয়োজন।

মেলায় প্রতিষ্ঠিত নারী লেখকদের পাশাপাশি নবীনদের বই নিয়েও পাঠকদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। নারী লেখকদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই হচ্ছে অনন্যা থেকে প্রকাশিত শানারেই দেবী শানুর উপন্যাস ‘ঘুণমানুষ’, ক্যানসারজয়ী তরুণীর দিনলিপি নিয়ে আনিকা তাহসিনের লেখা অনিন্দ্য প্রকাশনীর ‘বিষে বিষক্ষয়’, কথা প্রকাশ প্রকাশিত আফসানা বেগম অনূদিত উইলিয়াম ফকনারের ‘অ্যাজ আই লে ডাইয়িং’, জিনিয়াস থেকে প্রকাশিত কানিজ পারিজাতের ‘বরফপানি ও অন্যান্য গল্প’।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ