নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দর আঞ্চলিক সমুদ্র যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে। এসব স্থাপনা হলে চট্টগ্রাম বন্দর আঞ্চলিক সমুদ্র যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।
গতকাল রোববার সকালে বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকায় সার্ভিস জেটিতে বন্দরের জন্য কেনা কান্ডারী-৬ টাগবোট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বন্দরের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বন্দরের জন্য টাগবোট সংগ্রহ, সার্ভিস জেটি নির্মাণ, নিউমুরিং কন্টেইনার ওভারফ্লো ইয়ার্ড নির্মিত হয়েছে।
এ সময় খালিদ মাহমুদ চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের অর্থনীতির গেটওয়ে হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের ফলে বিদেশিরা বিনিয়োগের জন্য ধরনা দিচ্ছে।
দেশ ও বন্দরের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পিছিয়ে (উন্নয়নকাজ) দেওয়ার জন্য, টেনে ধরার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
পরে প্রতিমন্ত্রী নবনির্মিত নিউমুরিং কন্টেইনার ওভারফ্লো ইয়ার্ড, নবনির্মিত সুইমিংপুল কমপ্লেক্স, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড এবং টেনিস কোর্টের উদ্বোধন করেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক ১৪ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন সার্ভিস জেটি চালু হলো। কর্ণফুলী নদীর তীরে নগরীর আগ্রাবাদের বারিক বিল্ডিং এলাকায় ১ নম্বর জেটির উজানে এ জেটি নির্মিত হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা। জেটিতে ২২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ মিটার প্রস্থের ৫ মিটার ড্রাফটের (গভীরতা) ১০০ মিটার লম্বা দুটি জাহাজ একসঙ্গে ভিড়তে পারবে। অন্যদিকে নিউমুরিং কন্টেইনার ওভারফ্লো ইয়ার্ড কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সুবিধার চাহিদা মেটাবে। এর আয়তন ৯০ হাজার ৫২১ বর্গমিটার। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৭৬ কোটি টাকা। সুইমিংপুল কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। টেনিস কোর্ট ও বাস্কেটবল গ্রাউন্ড নির্মাণে ব্যয় হয়েছে তিন কোটি ৩৩ লাখ টাকা।