শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর সমুদ্রের তীর ঘেঁষে নির্মিত হচ্ছে চকচকে এক মহানগর, যা পরিচিত কলম্বো পোর্ট সিটি নামে। এটি মূলত বিশেষ আন্তর্জাতিক আর্থিক অঞ্চল। আর সংশ্লিষ্টরা এই পোর্টকে দুবাই, মোনাকো বা হংকংয়ের সঙ্গে তুলনা করে এটিকে বর্ণনা করে থাকেন ‘একটি অর্থনৈতিক গেম চেঞ্জার’ হিসেবে।
তবে এই পোর্ট সিটি সত্যিকার অর্থেই শ্রীলঙ্কার জন্য কতটা অর্থনৈতিক গেম চেঞ্জার হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকেরা। কারণ, কাজ শুরুর জন্য শ্রীলঙ্কায় ১৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিএইচইসি)। বিনিময়ে, ফার্মটিকে ৯৯ বছরের লিজে পোর্টের ৪৩ শতাংশ দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে ড্রেজিংয়ের পর, পোর্টটির নির্মাণ কার্যক্রম গতি পাচ্ছে এবং এটি রূপ নিচ্ছে নতুন এক শহরে।
বিশ্ব মঞ্চে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির সঙ্গে দেশটির দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। এ ছাড়া কলম্বোয় চীনের পদচিহ্ন বড় উদ্বেগের কারণ হয় দাঁড়িয়েছে প্রতিবেশী ভারতের জন্যও। বিশ্লেষকদের মতে, কলম্বো পোর্ট সিটি নিয়ে শ্রীলঙ্কার ভয় পাওয়ার অনেক কারণ আছে। কারণ, ২০২০ সালে একটি প্রকল্পের জন্য চীনের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ না করতে পেরে দেউলিয়াত্ব এড়াতে নিজেদের এনার্জি গ্রিডের কিছু অংশ বেইজিংয়ের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে লাওস।
ফলে, হামবানটোটা বা কলম্বো পোর্ট সিটিও দীর্ঘ মেয়াদে চীনের ছিটমহলে পরিণত হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, বর্তমানে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।