Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বাগেরহাটে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, ৬৮ জন শনাক্ত

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, ৬৮ জন শনাক্ত

বাগেরহাটে দিন দিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন করে আরও ছয়জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।

ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে একধরনের ভীতি কাজ করছে। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ মানুষকে ঘরবাড়ি ও আশপাশ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, বাগেরহাট ২৫০ শয্যা রাজিয়া নাসের জেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ব্যবসায়ী, গৃহিণী, মাইক্রোবাসচালকসহ নানা পেশার মানুষ রয়েছেন। এ ছাড়া গত এক সপ্তাহে ৪৩ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে যাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাঁরা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকে ঢাকা থেকে এসেছেন। কেউ কেউ আবার স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন।

ঢাকায় মাইক্রোবাস চালাতেন সদর উপজেলার কাশেমপুর মকবুল শেখ। সপ্তাহখানেক আগে ঢাকায় বসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। জ্বর ভালো না হওয়ায় বাগেরহাটে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে জ্বর, গা ব্যথা ও বমি হয়। ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেলেও কমেনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। তাই বাড়িতে এসে হাসপাতালে ভর্তি হই। এখন কিছুটা ভালো।

জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাগেরহাট সদর উপজেলার রনবিজয়পুর গ্রামের মাহমুদা খানম বলেন, ‘কোথাও যাইনি। তারপরও কীভাবে আক্রান্ত হলাম বুঝতেছি না। তিন দিন ধরে প্রচণ্ড জ্বর, গা ব্যথা ও বমি হচ্ছে। এখন একটু ভালো, আশা করি ভালো হয়ে যাব।’

বাগেরহাট ২৫০ শয্যা রাজিয়া নাসের জেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) মো. জব্বার ফারুকী বলেন, বর্তমানে স্থানীয় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জেলা হাসপাতালে বর্তমানে ছয়জন রোগী ভর্তি রয়েছে। তাদের নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জব্বার ফারুকী আরও বলেন, ডেঙ্গু থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো ব্যক্তিগত সতর্কতা এবং এডিস মশা প্রতিরোধ। এডিস মশা সাধারণত সূর্যোদয়ের আধা ঘণ্টার মধ্যে এবং সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের আধা ঘণ্টা আগে কামড়াতে বেশি পছন্দ করে। এ সময়ে মশার কামড় থেকে সাবধান থাকতে হবে। ঘুমানোর আগে মশারি ব্যবহার করতে হবে।

সেই সঙ্গে এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি রোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থান যেমন ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, ডাবের পরিত্যক্ত খোসা, কনটেইনার, ব্যাটারির শেল, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, বাথরুমের কমোড, ঘরের অ্যাকোরিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ারকন্ডিশনারের নিচে জমে থাকা পানি তিন থেকে পাঁচ দিন পরপর ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। আক্রান্ত ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। সেই সঙ্গে ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাওয়ার স্যালাইনও উপকারী বলে জানান এই চিকিৎসক। 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ