
সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিশাল প্যান্ডেল। ব্যানার, ফেস্টুন, মাইকসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখানেই গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল জেলা বিএনপির কাউন্সিল। কিন্তু ভোটার তালিকা ও কয়েকটি উপজেলা কমিটি গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ২৪ ঘণ্টা আগে কেন্দ্র থেকে স্থগিত করা হয় কাউন্সিল। গত রোববার বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কাউন্সিল স্থগিত করা হয়।
এদিকে ভোটার তালিকায় অনিয়ম তদন্তে গঠিত কমিটিতে সাত জন সদস্যের মধ্যে চারজনই রাখা হয়েছে অঙ্গসংগঠন থেকে। এ নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে কাউন্সিল স্থগিতের কারণ উল্লেখ করে বলা হয়, কাউন্সিল বা নির্বাচনের কমপক্ষে সাত দিন আগে ভোটার বা কাউন্সিলর তালিকা প্রকাশ করা উচিত ছিল। কিন্তু জেলা বিএনপি কাউন্সিলের আগের দিন ভোটার তালিকা প্রকাশ ও কেন্দ্রে প্রেরণ করেছে। যার ফলে কাউন্সিলে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। তাই পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই কাউন্সিল স্থগিত থাকবে।
গত রোববার সম্মেলন ও কাউন্সিল স্থগিত করে ভোটার তালিকা যাচাই বাছাই করতে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এই যাচাই বাছাইয়ে অনিয়মের প্রমাণ পেলে তা তুলে ধরা হবে কেন্দ্রের কাছে। এরপর কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সম্মেলন ও কাউন্সিলের ব্যাপারে। ওই কমিটির সাত সদস্যের মধ্যে চারজনই রাখা হয়েছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন থেকে।
কেন্দ্র থেকে গঠিত সাত সদস্যের কমিটির প্রধান করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনকে।
কমিটির বাকি ছয় সদস্যের মধ্যে বিএনপি নেতা রয়েছেন দুজন। তাঁরা হলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ূম জালালী পংকী ও সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন।
কমিটির বাকি চারজন বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্ব রয়েছেন। তাঁরা হলেন সিলেট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নজিবুর রহমান নজিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান জামাল ও মহানগরের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহিদ সোহেল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেন, কেন্দ্রের কতিপয় নেতার স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতা, অযোগ্যতা, দায়িত্বহীনতার কারণে জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল পণ্ড হয়েছে।