হোম > ছাপা সংস্করণ

সেরা বোলিং করে পাকিস্তানকে আটকাতে চান তাসকিন

রানা আব্বাস, কলম্বো থেকে

রশিদ খান সজোরে মারতে চেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদকে। সেটি তো হয়ইনি, উল্টো সাকিবের ক্যাচে পরিণত করে রশিদ ফিরেছেন হতাশ মুখে। আফগানদের শেষ উইকেট রশিদকে ফিরিয়েই তাসকিন হাত দিয়ে কিছু একটা বুঝিয়েছিলেন।

ওই ম্যাচের আগে হাত দিয়ে ছোবল দেওয়ার ভঙিতে তোলা রশিদের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। তাসকিন কি সেটারই জবাব দিতে হাত দিয়ে কিছু বোঝালেন। ঠিক তা নয়। গতকাল লাহোর থেকে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানালেন, ওই ডেলিভারিতে নাকল বলের চেষ্টা করেছিলেন। সেটি সফল হওয়ায় অমন উদ্‌যাপন।

প্রতিনিয়ত ভান্ডারে নতুন অস্ত্র যোগ করার চেষ্টা করছেন তাসকিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সীমিত অস্ত্রে যে ধারাবাহিক সফল হওয়া যায় না, সেটি তিনি ৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ভালোই বুঝে গেছেন।

আমাদের নিজেদের প্রতি বিশ্বাস আছে, যদি সেরা বোলিংটা করতে পারি ওদের ভালোভাবে আটকাতে পারব

শেষ তিন বছরে নিজেকে নতুনভাবে চেনানো তাসকিন প্রতিনিয়ত উতরে যেতে চান কঠিন সব চ্যালেঞ্জে। আজ এশিয়া কাপের সুপার ফোরে যেমন তাঁকে চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের রানপ্রসবা উইকেটে বাবরদের বিপক্ষে।

আফগানিস্তানের দারুণ বোলিং করা তাসকিন আজকের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বললেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই লাহোরে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট থাকবে। উইকেট বা কন্ডিশন আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। (আগের ম্যাচে) দ্রুত মানিয়ে নিতে পেরেছিলাম আমরা। আমাদের সব বোলারই দারুণ করেছে।

সামনের ম্যাচগুলোতেও আমরা এখান থেকে ভালো করার চেষ্টা করব। এটা ভালো যে আমরা খেলছি বিভিন্ন কন্ডিশনে এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারছি। আমাদের অ্যাকুরেসি ও ভ্যারিয়েশন খুব ভালো ছিল, বিধায় আমরা ভালো করতে পেরেছি। আশা করি, সামনেও এটা থাকবে।’

লাহোরের মতো ব্যাটিংসহায়ক উইকেটে বোলারদের পরীক্ষা কতটা কঠিন, সেটা বোঝা গেল তাসকিনের এই কথায়, ‘এ রকম উইকেটে আসলে বোলারদের মার্জিন অনেক ছোট থাকে। একটু এদিক-ওদিক হলে সেটা বাউন্ডারি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক নিখুঁত বল করতে হয় ভ্যারিয়েশনের সঙ্গে।

পাকিস্তানের ব্যাটিং বিশ্বের অন্যতম সেরা। কাজটা সহজ হবে না। কিন্তু আমাদের নিজেদের প্রতি বিশ্বাস আছে, যদি সেরা বোলিংটা করতে পারি ওদের ভালোভাবে আটকাতে পারব।’

শুধু ভালো বোলিংয়েই নয়, সতর্ক থাকতে হচ্ছে চোট নিয়েও। বিশ্বকাপের আগে লাহোরের শক্তি শুষে নেওয়া গরমে চোটে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। পেসারদের জন্য সেটা আরও বেশি। এরই মধ্যে পেশির চোটে ছিটকে গেছেন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্তকে হারানো তাসকিনের চোখে দলের বড় ক্ষতি।

ব্যস্ত সূচিতে চোটে যেন না পড়েন, সেটি নিয়ে নিজেদের করণীয় তুলে ধরলেন তাসকিন, ‘শুধু পেস বোলারদের জন্য নয়। যে কারও জন্যই এই কন্ডিশনে ক্রিকেট খেলাটা বেশ কঠিন। তবে এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এখানে আমরা আমাদের রিকভারিতে বেশি খেয়াল রাখছি। একই সঙ্গে দলের ফিজিও-ট্রেনার আমাদের অনেক সহায়তা করছেন।

আমরা আমাদের নিজেদের যথেষ্ট যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করেছি যেন আমরা সবাই সুস্থ থেকে খেলতে পারি। অবশ্যই এটা চ্যালেঞ্জিং, তবে এর মধ্যেই সেরাটা খেলতে হবে।’

কঠিন পরিস্থিতিতে সেরাটা দেওয়াই চ্যাম্পিয়নদের কাজ। চ্যাম্পিয়ন বোলার হতে তাসকিন আজকের ম্যাচেও সেটিই দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন