সিলেট সংবাদদাতা
সিলেটে শ্বাসরোধ করে ১৭ মাস বয়সী সন্তান নুসরাত জাহান সাবিহাকে হত্যার মামলায় মা নাজমিন আক্তারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।গতকাল বৃহস্পতিবার নাজমিনকে আদালতে তোলা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে পুলিশ তাঁর ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বুধবার রাতে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় হত্যা মামলা করেন সাবিহার বাবা সাব্বির হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান। ওসি বলেন, ‘নাজমিনকে এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি না দেওয়ায় তাঁর ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
নাজমিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাদেপাশা ইউনিয়নের কালিকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. জিয়া উদ্দিনের মেয়ে। তিনি সিলেটের একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষক। গত বুধবার নিজের মেয়েসন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। গত বুধবার সকালে নগরীর শাহপরান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জেরে মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন নাজমিন। এ সময় মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। গত বুধবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে নাজমিনকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। একই সময় নাজমিনের স্বামী সাব্বির হোসেনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার গোলাপগঞ্জের নাজমিনের সঙ্গে বদলি এলাকার সাব্বির হোসেনের বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। বিয়ের পর থেকে তারা শাহপরান এলাকায় থাকেন। নাজমিন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কলার্সহোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ও তাঁর স্বামী কাতারপ্রবাসী। এর আগেও একটি বিয়ে হয়েছিল নাজমিনের। সেই সংসারে তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে সাবিহাকে গলা টিপে তার মা নাজমিন হত্যা করেন বলে জানায় পুলিশ।