লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ঋণ পরিশোধ করতে বলায় এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে চড়-থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জর্জিস আলম দরদীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ওই ঘটনায় গতকাল সোমবার পাঁচজনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ব্যাংক কর্মকর্তা আদম মালিক নিস্তার। এর আগে গত রোববার অফিস চলাকালীন হাতীবান্ধা কর্মসংস্থান ব্যাংকে চড়-থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটে।
জর্জিস আলম দরদী হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। ব্যাংক কর্মকর্তা আদম মালিক নিস্তার কর্মসংস্থান ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার ব্যবস্থাপক।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার টাকা ঋণ নেন জর্জিস আলম। এরপর ওই টাকা পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন তিনি। বর্তমানে ব্যাংক তাঁর কাছে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা পাবে। ঋণ পরিশোধ করার জন্য জর্জিসকে অবগত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ঋণ পরিশোধের টাকা নিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরেই জেরে রোববার আদম মালিক নিস্তার ও সহকারী ব্যবস্থাপক শাহ আলমকে চড়-থাপ্পড় দেন জর্জিস আলম দরদীর ও তাঁর লোকজন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা কর্মসংস্থান ব্যাংকের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, ‘ঋণ পরিশোধ করতে বলায় জর্জিস আলম ও তাঁর লোকজন আমাদের মারধর করেছেন। তাঁর লোক রব্বানী আমাকে চড় দিয়েছেন। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।’
হাতীবান্ধা কর্মসংস্থান ব্যাংকের ম্যানেজার আদম মালিক নিস্তার বলেন, ‘ঋণ পরিশোধ করতে বলায় জর্জিসের লোক রব্বানী আমাকে চড় দিয়েছেন। কানে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে ও কথা শুনতে সমস্যা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অভিযুক্ত জর্জিস আলম দরদী বলেন, ‘ব্যাংকের লোকজন টাকার জন্য আমাকে দুই ঘণ্টা আটকে রাখে। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করব। আর তাই সেই ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে তাঁরা মারধরের মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ করেছেন।