কেউ ভ্যান চালান আবার কেউ অটো চালিয়ে রোজগার করেন। এমন ২০টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দেন স্থানীয় প্রভাবশালী সিদ্দিকুর রহমান। অবরুদ্ধ এসব পরিবার উপায়ন্তর না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানায়। পরে গত বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। পুলিশ সেখানে গিয়ে রাস্তাটি অবমুক্ত করে। ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মৌশা গ্রামে।
ওই পরিবারগুলার মধ্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ইজিবাইক চালাই। অথচ সকাল বেলা বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে দেখি রাস্তা বন্ধ। আমার মতো আরও ৫-৭ জন ভ্যান ও ইজিবাইক চালক আটকে ছিলেন। পরে পুলিশ রাস্তা অবমুক্ত করে দেন।’
সালিমুল নামের এক ভ্যানচালক বলেন, ‘সিদ্দিকুর রহমান সকাল বেলা বাঁশ দিয়ে পথ আটক দেন। আমরা ভ্যান নিয়ে যাতি পারছিলাম না। ভ্যান নিয়ে বের হতে না পারলি আমাগর আয় বন্ধ। তিনি মাঝে মধ্যেই এ রকম রাস্তা আটকায় দিয়ে যান।’
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশ সিদ্দিকুর রহমানর জমি আছ। রাস্তায় একটু কাঁদা পানি জমলে ভ্যান ও ইজিবাইক চালকেরা তাঁর জমির ওপর দিয়ে যায়। তাঁর জমির ওপর গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয় ওঠেন। আর রাস্তা বন্ধ কর দিয়ে যান।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘রাগের বশবর্তী হয়ে আমার জমিতে বাঁশ দিয়ে আটকে দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের কথায় বাঁশ খুলে দিয়েছি। আমার ভুল আমি বুঝতে পেরেছি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানদ পাল বলেন, ‘বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ গিয়ে বিষয়টির সমাধান করেছে বলে কানতে পেরেছি।’
মহম্মদপুর থানার এস আই আহাদ জানান, ‘আমি যায় রাস্তাটি চলাচলর উপযোগী করে দিয়েছি। রাস্তায় ওই ব্যক্তি যদি আর কোনো ঝামেলা করলে আমাকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছি। পরবর্ততে আরও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’