Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

কাজে আসছে না ৫ একর জমি

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

কাজে আসছে না ৫ একর জমি

চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা পুরোনো অকশন গোলাটি ৭ বছরেও খালি করতে পারেনি কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। বন্দরের অভ্যন্তরে প্রায় ৫ একর জায়গা দখল করে থাকা জরাজীর্ণ অকশন গোলাটি এখন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ফলে এখানে নতুন ইয়ার্ডের নির্মাণকাজ শুরু করা যাচ্ছে না। বারবার এ নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনো কাজে আসেনি।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের অভ্যন্তরে প্রায় ৫ একর জায়গাজুড়ে দখলে থাকা পুরোনো অকশন গোলাটি সরিয়ে নিলে এখানে নতুন ইয়ার্ড নির্মাণ করা সম্ভব হবে। আর এতে বছরে এক লাখের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা যাবে। ফলে বন্দরের সক্ষমতা আরও একধাপ বাড়বে। একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হবে সরকারের।

বন্দর কর্তৃপক্ষ স্টেডিয়ামের বিপরীতে বন্দরের নিজস্ব জায়গায় ও নিজস্ব অর্থায়নে ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন অকশন শেড নির্মাণ করে দিয়েছে।

২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর তৎকালীন নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান নতুন অকশন শেডটি উদ্বোধন করার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ সেটি চট্টগ্রাম কাস্টমসকে বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু গত ৭ বছরেও পুরোনো অকশন গোলাটি বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে পারেনি চট্টগ্রাম কাস্টমস। বর্তমানে সব ধরনের নিলাম কার্যক্রম সেখানে পরিচালিত হচ্ছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে অকশন গোলাটি খালি করতে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সেখানে থাকা পণ্যগুলোর পুনরায় তালিকা করে।

সর্বশেষ গত ২৪ মে কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার আলী রেজা হায়দার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। বিজ্ঞপ্তিতে পুরোনো অকশন গোলায় থাকা পণ্যের দাবিদার কিংবা নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতাকে ৩০ দিনের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন। অন্যথায় ওই সব পণ্যের দাবিদার নেই ধরে নিয়ে পণ্যগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পণ্যগুলো শনাক্ত করতে তালিকাও প্রকাশ করা হয়।

এর আগে অকশন গোলাটি খালি করতে চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে গত বছরের ১১ অক্টোবর আরও একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সেই বিজ্ঞপ্তিতেও একই কথা বলা হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার আল আল আমিন বলেন, ‘পুরোনো অকশন গোলাটি খালি করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। মামলার কারণে খালি করতে সময় লাগছে। এখানে ইনভেন্ট্রি ছাড়া কোনো পণ্য নেই। যেসব গাড়ি আছে, সবই ইনভেন্ট্রি হয়ে গেছে। এসব পণ্য দ্রুত নিলামে বিক্রি এবং নিলাম-অযোগ্য পণ্যগুলো ধ্বংস করা হবে। এ ছাড়া মামলা থাকা লটগুলোও দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।’

চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেট-সংলগ্ন পুরোনো অকশন গোলাটিতে ১১০টি ভঙ্গুর ও ধ্বংসযোগ্য গাড়ি রয়েছে। এসব গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ২০০২ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে। বারবার নিলামে তুলেও বিক্রি না হওয়ায় ওই অকশন গোলায় রেখে দেওয়া হয় গাড়িগুলো। আবার কিছু কিছু গাড়ির বিষয়ে আদালতে মামলা চলায় সেগুলোও এই অকশন গোলায় পড়ে থাকে বছরের পর বছর। ২০-২৫ বছর এসব গাড়ি পড়ে থাকায় এখন অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুরোনো অকশন গোলাটি সরিয়ে নিলে এখানে নতুন কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করা সম্ভব হবে। এর ফলে বছরে এক লাখের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা যাবে। এতে বন্দরের সক্ষমতা আরও একধাপ বাড়বে।’ 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ