আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী গরুর মাংস খাওয়া পাঁচ ভাগের এক ভাগ কমালে ৩০ বছরের মধ্যে বন উজাড় এবং কার্বন নিঃসরণ অর্ধেক কমবে। সম্প্রতি বিজ্ঞানভিত্তিক ব্রিটিশ সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে গরুর মাংসের বিকল্প হিসেবে মাইকোপ্রোটিনের কথা উল্লেখ করা হয়। বিশ্ব তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার পথেই নেই-এক মাস আগে জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত জাতিসংঘের আন্তসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) এমন সতর্কবার্তার পর এবার এ গবেষণা প্রকাশিত হলো।
বাণিজ্যিকভাবে গরু পালন বিশ্বব্যাপী বন উজাড়ের একটি অন্যতম কারণ। গরু মিথেনের একটি উৎস, যা কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়েও শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস। মাংসের বিকল্প খাবারের সঙ্গে এর প্রতিস্থাপন করা গেলে পরিবেশগত পরিবর্তন আসতে পারে, যা জলবায়ুর বিরূপ আচরণ কমাবে। তবে কেবল এটি জলবায়ু-সংকটের সমাধান করবে না বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া জার্মানির পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের বিজ্ঞানী ফ্লোরিয়ান হাম্পেনউডার। তিনি বলেন, একে ‘সিলভার বুলেট’ হিসেবে দেখা উচিত নয়।
এর আগে বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, গরুর মাংসের বিকল্প মাইকোপ্রোটিন নামক একটি মাংসহীন খাবার পরিবেশের ওপর উপকারী প্রভাব ফেলতে পারে। খাদ্যের উৎস হিসেবে গ্লুকোজ এবং অন্যান্য পুষ্টির সঙ্গে মাটিতে বসবাসকারী ছত্রাককে গাঁজন করে ইস্পাত ট্যাংকে বানানো এ মাইকোপ্রোটিন ১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যে প্রথম পাওয়া যায়। এখন অনেক দেশে সহজলভ্য।