রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। এর মধ্যে পশু জবাইয়ের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তৈরি ও পুরোনো দা-বঁটি ও ছুরিতে ধার দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসিংদীর রায়পুরার কামারেরা। টুংটাং শব্দে মুখর কামার পল্লিগুলো। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, ঈদুল আজহার নাম করে নাশকতা করার জন্য কেউ হাতিয়ার প্রস্তুত করছেন কী না, সে বিষয়েও কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।
গত শনিবার সরেজমিন উপজেলার কামারবাড়ির মোড়, সাপমারা, হাসিমপুর, রাধাগঞ্জ, মরজাল, চরসুবুদ্ধি, আমিরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এই ব্যস্ততা দেখা গেছে। কামারশালাগুলোর পাশ দিয়ে গেলেই কানে বাজছে লোহা পেটানোর টুংটাং শব্দ।
উপজেলার কামারবাড়ির মোড়ে ছুরি-বঁটি কিনতে আসা খলিল মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর মহামারির কারণে বাড়ি থেকে অনেকে বেরই হতে পারেনি। এ বছর বড় পশু কোরবানি দিব। নতুন ছুরি-বঁটি কিনতে হবে। দাম বেশ চড়া। তবুও কিনতে হচ্ছে।’
মহাদেব কর্মকার বলেন, লোহার দাম এখন একটু বেশি। চাপাতি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছ। চামড়া ছাড়ানোর ছুরি ৬০ থেকে ১২০ টাকা। পশু জবাইয়ের ছুরি ২০০ থেকে ৬০০ টাকা। চায়নিজ কুড়াল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা দরে।
রায়পরা থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান বলেন, ঈদুল আজহার নাম করে নাশকতা করার জন্য কেউ হাতিয়ার প্রস্তুত করছেন কী না, সে বিষয়েও কঠোর নজরদারি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।