লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে ভারতের যৌনপল্লিতে বিক্রির অভিযোগে মো. সোহাগ (২২) এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। সোহাগ সদর উপজেলার চরভুতি গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ মাস আগে মো. সোহাগের সঙ্গে কমলনগর উপজেলার ওই নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও ওই সময় ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়।
পরে সোহাগ স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে বাকি টাকার জন্য চাপ দেন। দুই মাস পর বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ঢাকা নিয়ে যান সোহাগ। সেখানে নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে ভারতের কলকাতার কাছাকাছি সোহাগের বোন সহিদার কাছে রেখে আসেন। সহিদা সেখানে যৌনপল্লির সর্দারনির দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
তিন মাসেও ওই নারীকে না পেয়ে তাঁর পরিবার সোহাগকে চাপ দেয়। ওই নারী ঢাকায় তাঁর বোনের বাসায় আছেন বলে জানান সোহাগ। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ১০ অক্টোবর ওই নারী ভাই হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোহাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই নারীকে তাঁর বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে সোহাগকে চাপ দেয়।
সোহাগ এক সপ্তাহ আগে ওই নারীকে অজ্ঞান করে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসেন। জ্ঞান ফিরলে ওই নারী গোপনে বাবার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছে ঘটনা বলেন। এরপর তাঁর পরিবার সোহাগকে যৌতুকের বাকি টাকা দেবে জানিয়ে আসতে বলে। সোহাগ বুধবার রাতে টাকা নিতে ওই বাড়ি গেলে এলাকাবাসী তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। বর্তমানে সোহাগ কমলনগর থানা হেফাজতে রয়েছেন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, সোহাগ বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে তাঁকে অজ্ঞান করে ভারতে নিয়ে তাঁর বোনের কাছে বিক্রি করে দেন। ওখানে তিন মাস তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অবাধ্য হলে শারীরিক নির্যাতনও করা হতো। তিনি সোহাগ ও তাঁর বোন সহিদার বিচার চান।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে সোহাগকে আটক করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।