নেত্রকোনার বারহাট্টায় পশুচিকিৎসকের অস্ত্রোপচারে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার পর তাদের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা চৌধুরীর উপস্থিতিতে কবর থেকে মা ও নবজাতকের লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) সাইদুর রহমান, ওসি লুৎফুল হক, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাসিম তালুকারসহ এলাকার অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা চৌধুরী বলেন, আদালতের নির্দেশে মা-সন্তানের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু মামলা হয়েছে, বিচারাধীন বিষয়। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আদালত পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।
বারহাট্টা থানার ওসি লুৎফুল হক বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর কারণ জানতে শনিবার লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করি। রাতে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। তাই রোববার লাশ উত্তোলন করে দুপুরের দিকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর আসল সঠিক কারণ জানা যাবে।
এর আগে গত বুধবার উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামে পশুচিকিৎসকের ভুল অস্ত্রোপচারে প্রসূতি শরীফা আক্তার (২০) ও নবজাতকের মৃত্যু হয়।
সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হলে পরদিন সকালে ঘটনা খতিয়ে দেখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত পশুচিকিৎসক আবুল কাশেমকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে পশুচিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও শিশু হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় অভিযুক্ত আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।