
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উড়ে গেছে টিনের চালা। গাছপালা ভেঙে রাস্তায় পড়ে থাকায় অনেক এলাকায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত বুধবার রাতে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ ঝড় ও বৃষ্টি চলে।
কিছুদিন আগেও দুই দফা বড় এবং দুই দফায় মৃদু ঝড়ে উপজেলার মানুষ ব্যাপক ক্ষতিতে পড়ে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে পঞ্চম দফায় আবার ঝড় ও বৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, ঝড়ে ভেঙেপড়া গাছপালা সরাতে ব্যস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকেই গাছ কাটার শ্রমিক খুঁজছেন। কয়েক দফায় বৈশাখী ঝড় হওয়ায় গাছকাটা ও কাঁচা বাড়িঘর মেরামতের শ্রমিক সংকটে পড়েছে।
কৃষি কার্যালয় জানায়, ঘন ঘন বৃষ্টি আর ঝড়ের ফলে বোরো ধান, আম, লিচু, ভুট্টা, মরিচ, পটলসহ কয়েক হাজার চাষির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বোরো পাকা ধান দ্রুত ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ঝড়ে আমাদের মাদ্রাসার ভবনের চাল উড়িয়ে নিয়ে অনেকটা দূরে নিয়ে ফেলেছে। অধিকাংশ টিনের চালা নষ্ট হয়ে গেছে।’
বড়বাড়ী ইউনিয়নের ভুট্টাচাষি আবুল কাসেম বলেন, ‘ঘন বৃষ্টি আর ঝড়ের কারণে পাকা ভুট্টা খেত থেকে তুলতে পারছি না। আবহাওয়া ভালো এবং রোদ না হলে ভুট্টার অবশিষ্ট অংশ নষ্ট হয়ে যাবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দফায় দফায় ঝড়ে কৃষকেরা বিপাকে পড়ছেন। বুধবার রাতের ঝড়ে ফসলের ক্ষতি নিরূপণের জন্য মাঠে কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে কয়েক দফায় প্রায় চার হাজার হেক্টর বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।’