মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের হয়রানি এবং তল্লাশির নামে বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর বন্ধ করা না হলে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে রংপুর জেলাকে অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে মহানগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
গঙ্গাচড়ায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ মামলা দিয়ে হয়রানি করছে দাবি করে এর প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।
সাইফুল বলেন, ‘৮ সেপ্টেম্বর গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে ১৫০ নেতা-কর্মীকে গুলিবিদ্ধ করে। এ সময় ছাত্রনেতা শরিফ নেওয়াজ জোহা, তুলিব, মোরসালিন, হারেস, সিরাজুল, যুবনেতা মনু, মুরাদ, মিথুনসহ বেশি কিছু নেতা-কর্মী মারাত্মকভাবে আহত হন। এঁদের মধ্যে মোরসালিন, তুলিব ও হারেসের চোখ এখন অন্ধ হওয়ার উপক্রম। পুলিশ বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে অমানবিক নির্যাতন করেছে।’
সাইফুল অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পুলিশ এবং যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মিলে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। উল্টো বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীর নামসহ দেড় হাজারের বেশি জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। এই মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীসহ এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষকেও পুলিশ হয়রানি করছে। শুধু তাই নয়, প্রতিদিনই পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মিলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে ভাঙচুর এবং পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য সাইদা রহমান জোসনা, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফসার আলী, সদস্য পরিতোষ চক্রবর্তী, সাইদা রহমান জোসনা, আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা, জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, সিনিয়র সহসভাপতি রাকিব হাসান, সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহ্ জিল্লুর রহমান জেমস, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক লিটন পারভেজ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান হিজবুল, সাধারণ সম্পাদক শরীফ নেওয়াজ জোহা প্রমুখ।
