Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

১৮ ইউপিতে নৌকার মাঝি যাঁরা

কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ প্রতিনিধি

১৮ ইউপিতে নৌকার মাঝি যাঁরা

কানাইঘাট ও জকিগঞ্জের ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। গত সোমবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড মনোনীত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করে। এর আগে রোববার বিকেল ৪টায় মনোনয়ন বোর্ডের এক সভা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকাশিত তালিকায় সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউপির ৪টিতে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ভোটে নির্বাচিত প্রার্থীরা উপেক্ষিত হয়েছেন। এ নিয়ে কানাইঘাট উপজেলার ৪টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অপরদিকে জকিগঞ্জের একটি ইউপিতে তৃণমূলের ভোটে নিবার্চিত প্রার্থী উপেক্ষিত হন।

কানাইঘাট প্রতিনিধি: এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন, লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউপিতে তমিজ উদ্দিন, লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপিতে জেমস লিও ফারগুশন নানকা, দীঘিরপাড় পূর্ব ইউপিতে আলী হোসেন কাজল, সাতবাঁক ইউপিতে আব্দুল মন্নান, বড়চতুল ইউপিতে মুবশ্বির আলী চাচাই, সদর ইউপিতে প্রভাষক আফসার উদ্দিন আহমদ, দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপিতে মাসুদ আহমদ, ঝিংগাবাড়ী ইউপিতে সায়েম আহমদ, রাজাগঞ্জ ইউপিতে বিলাল আহমদ।

মনোনীতদের মধ্যে ৩০ নভেম্বর তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের ভোটে লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপিতে তোতা মিয়া, দীঘিরপাড় পূর্ব ইউপিতে আব্দুল বাছিত, ঝিংগাবাড়ী ইউপিতে হারুন রশিদ ও রাজাগঞ্জ ইউপিতে আলী আকবর চৌধুরী কোহিনুর নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপিতে মাসুদ আহমদ ও বাবুল রানা সমান সমান ভোট পেয়েছিলেন।

তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা জানান, কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তাঁদের দেওয়া সিদ্ধান্ত উপেক্ষিত হয়েছে। দলের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করলেও এবার উপজেলার বিভিন্ন ইউপিতে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।

কানাইঘাট উপজেলার দীঘিরপাড় পূর্ব ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত বলেন, ‘তৃণমূলের ভোটে আমি বিজয়ী হয়েছিলাম। তারপরও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত আমার প্রতিকূলে চলে গেছে। তৃণমূল নেতাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।’

উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি তোতা মিয়া বলেন, ‘দল যা মনে করে তাই ভালো। কেন্দ্রীয় কমিটি যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তাহলে স্থানীয় পর্যায়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ভোটের কি প্রয়োজন ছিল? তারপরও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’

ঝিংগাবাড়ী ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা হারুন রশিদ বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে আমি নির্বাচিত হয়েছি। এতে তৃণমূলের জয় হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক চূড়ান্ত তালিকায় আমার নাম না এলেও আমি খুবই খুশি।’

রাজাগঞ্জ ইউপি আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী আকবর চৌধুরী কোহিনুর বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাকে বাদ দিলেও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আমাকে ভোট দিয়েছে এতেই আমি খুশি।’

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন, বারহাল ইউপিতে মনজুরুল হামিদ চৌধুরী, বীরশ্রী ইউপিতে আব্দুস সাত্তার, কাজলসার ইউপিতে জুলকার নাইন লস্কর, খলাছড়া ইউপিতে কবির আহমদ, জকিগঞ্জ ইউপিতে আফতাব আহমদ, সুলতানপুর ইউপিতে ইকবাল আহমদ চৌধুরী, বারঠাকুরী ইউপিতে মহসীন মুতর্জা চৌধুরী, কসকনকপুর ইউপিতে আব্দুর রাজ্জাক তাপাদার রিয়াজ, মানিকপুর ইউপিতে আবু জাফর মো. রায়হান।

এর মধ্যে বারঠাকুরী ইউপিতে তৃণমূল নেতাদের ভোটে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিভাকর দেশমুখ্য বিজয়ী হন। তবে কেন্দ্র বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মহসীন মুর্তুজা চৌধুরীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছেন। মানিকপুর ইউনিয়নে আবু জাফর রায়হান ও রিলন আহমদ চৌধুরী তৃণমূলের সমান সমান ভোট পেলেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে এখানে সাবেক চেয়ারম্যান আবু জাফর রায়হান মনোনয়ন পেয়েছেন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ