সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সদর ইউপিতে স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ হবে আজ সোমবার। একই সঙ্গে একটি ভোটকেন্দ্রে দুজন প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় পুনরায় ভোট গ্রহণ হবে আজ।
এদিকে স্থগিত কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন ও পানছড়ি থানা-পুলিশ তৎপর। থানা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী বিফ্রিং প্যারেড চলাকালে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনচারুল করিম বলেন, মোট তিনটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে পুলিশ ও আনসার বাহিনীকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে নিজ বাহিনীর সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে চলতে হবে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ধাপে গত ৭ ফেব্রুয়ারি পানছড়ি উপজেলার ৫টি ইউপির মধ্যে ৪টিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। সহিংসতা ও জাল ভোটকে কেন্দ্র করে ৩ নম্বর পানছড়ি সদর ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রের মধ্যে একটি পানছড়ি বাজার উচ্চবিদ্যালয়। অন্যটি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাইলট ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। মোট দুটি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৬২৮ জন ভোটারের ভোট গ্রহণ করা হবে। এখানে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা নির্বাচিত হওয়ার বাকি রয়েছেন।
অপর দিকে ৫ নম্বর উল্টাছড়ি ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে ২ জন প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় রোহিন্দ্রপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুনরায় ভোট হবে।
পুনরায় ভোট গ্রহণ নিয়ে সহিংসতা ও ভোট কারচুপির সংশয় প্রকাশ করেছেন চেয়ারম্যানপ্রার্থী খোরশেদ আলম ও উচিতমনি চাকমা। প্রার্থীরা বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের সহযোগিতায় অবৈধ ভোট কারচুপি বন্ধ করাতে পারলেও পরবর্তীতে হামলার শিকার হতে হয়েছে। এবার যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার রিকল চাকমা বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভোটারদের সহযোগিতা কামনা করছি।’