Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

শিক্ষক দম্পতির মৃত্যু কি গাড়ির বিষাক্ত গ্যাসেই

গাজীপুর প্রতিনিধি

শিক্ষক দম্পতির মৃত্যু কি গাড়ির বিষাক্ত গ্যাসেই

গাজীপুরে নিজ প্রাইভেট কারের ভেতর শিক্ষক দম্পতির রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর পর আড়াই মাস পেরোলেও পুলিশ এখনো রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে পারেনি। রহস্য উদ্‌ঘাটনে তদন্তসংশ্লিষ্টরা এরই মধ্যে বেশ কিছু আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন, কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেলে এই মৃত্যুরহস্যের জট খুলবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাদির উজ্জ-জামান জানান, পুলিশ গাড়ির ভেতরে থাকা বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), বিআরটিএ, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সসহ আরও কয়েকটি সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে।

ওই দম্পতির মরদেহের ফুসফুস ও কিডনিতে জমাটবাঁধা রক্তের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা বিষক্রিয়া বা অন্য কোনো কারণে হতে পারে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয় করতে ঢাকার সিআইডি ল্যাবে নমুনা পাঠানো হয়েছে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

জানা গেছে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার অংশ হিসেবে ওই শিক্ষক দম্পতির ব্যবহৃত গাড়িতে একটি বিড়াল রেখে গাড়ির এসি চালু করে দরজা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ১০-১২ মিনিট পর বিড়ালটি দুর্বল হয়ে পড়ে। আর ২৫ থেকে ২৬ মিনিট পর বিড়ালটি মারা যায়। শিক্ষক দম্পতিও স্কুল থেকে রওনা দেওয়ার পর লাশ উদ্ধারের স্থানে যেতে একই  সময় লেগেছিল। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এই পরীক্ষা ওই দম্পতির মৃত্যুরহস্যের জট খুলতে সাহায্য করবে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম গতকাল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা দুটি বিষয় সামনে রেখে তদন্তকাজ এগিয়ে নিচ্ছি। একটি খাদ্যে বিষক্রিয়া, অন্যটি গাড়িতে বিষাক্ত গ্যাসের উপস্থিতি। এ ধারণা থেকে আমরা গাড়িতে বিড়াল রেখে একটি পরীক্ষা চালিয়েছি। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, ওই শিক্ষক দম্পতির মৃত্যু এসির  বিষাক্ত গ্যাস থেকেই হয়েছে। তারপরে এসব বিষয়ে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছি। সেই সব প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আমরা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে পারব।’

চলতি বছরের ১৮ আগস্ট ভোরে গাজীপুর মহানগরীর বড়বাড়ির বগারটেক এলাকার সড়কের পাশে দাঁড়ানো একটি প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে শিক্ষক দম্পতি এ কে এম জিয়াউর রহমান মামুন ও মাহমুদা আক্তার জলির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। টঙ্গীর শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন জিয়াউর রহমান।

তাঁর স্ত্রী মাহমুদা সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন আমজাদ আলী সরকার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। তাঁরা গাজীপুর মহানগরীর ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের গাছা থানাধীন কামারজুরি এলাকায় বসবাস করতেন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ