বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করা বড় সওয়াবের কাজ। ইসলামে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কারণ, আমাদের সম্পদ আল্লাহর দান। সকল অসহায় ও অভাবী মানুষেরই তা থেকে সাহায্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের সম্পদে অসহায় ও অভাবীদের অধিকার রয়েছে।’ (সুরা যারিয়াত: ১৯)
মহানবী (সা.) কয়েক শ সাহাবিসহ হিজরত করে মক্কা থেকে মদিনায় গিয়ে আশ্রয় নেন, তখন মদিনার মুসলমানরা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। মহানবী (সা.) তাঁদের শিখিয়েছেন, পুরো মানবজাতিই একটি দেহের মতো। তাই দেহের কোনো অংশ আক্রান্ত হলে পুরো দেহ আক্রান্ত হয়ে যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো; যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার পুরো দেহ আক্রান্ত হয়।’ (মুসলিম: ৬৪৮০)
যে ব্যক্তি বিপদগ্রস্তের পাশে দাঁড়ায়, আল্লাহও তাঁকে দয়া করেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যতক্ষণ তুমি কোনো ভাইয়ের উপকারে লেগে থাকবে, ততক্ষণ আল্লাহ তোমার উপকারে লেগে থাকবেন।’ (মুসলিম: ২৩১৪) অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা নিঃস্ব-দুর্বল, তাদের মধ্যে আমাকে খুঁজবে। কেননা, তোমরা যে রিজিক এবং সাহায্য পাও, তা ওই অসহায়-দুর্বল লোকদের কারণেই পেয়ে থাকো।’ (আবু দাউদ: ২৫৯৪)
তাই আসুন, তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘কী তোমাদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছে? তারা বলবে আমরা মুমিনদের দলভুক্ত ছিলাম না এবং অভাবীদের খাবার দিতাম না।’ (সুরা মুদ্দাসসির: ৪২-৪৪)
মুফতি তাজুল ইসলাম কাওসার, ইসলামবিষয়ক গবেষক