Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

চোরআতঙ্কে নির্ঘুম রাত, গোয়ালঘর পাহারা

বাবলু মোস্তাফিজ, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া)

চোরআতঙ্কে নির্ঘুম রাত, গোয়ালঘর পাহারা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় গরু চুরি বেড়েছে। প্রতিরাতেই সংঘবদ্ধ চোরের দল কোনো না কোনো এলাকায় গরু চুরি করছে।

গরু চোর চক্রের অপতৎপরতায় কৃষক ও খামারিদের মধ্যে চুরির আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকায় পালাক্রমে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসী। আবার কিছু এলাকায় গরু পাহারা দিতে গরুর সঙ্গে গোয়ালঘরে ঘুমাচ্ছেন গৃহস্থরা। গত ১৫ দিনে এ উপজেলায় ১০ থেকে ১২টি গরু চুরি হয়েছে বলে কৃষক ও খামারিরা জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুনিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), মোকারিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) প্রভৃতি এলাকায় চোরের উপদ্রব বেশি। প্রায় প্রতি রাতে গোয়ালঘরে চোর দল চুরি করছে। এ ছাড়া এসব এলাকায় ভ্যান, সাইকেল, পানি তোলার পাম্পসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে। এর মধ্যে চাঁদগ্রামের হবিল সর্দারের দুটি গরু, বিপ্লবের দুটি, হরিপুরের মহিউদ্দিনের একটি, জুনিয়াদহ গ্রামের ফিরোজের একটি, মোকারিমপুর ইউপির গোলাপনগর গোরস্থানপাড়ার কাসেম উদ্দিনের একটি এবং পৌরসভার ফারাকপুরের মজিবর মৃধার দুটি গরু চুরি হয়েছে। এ ছাড়া গরু চুরির সময় ধাওয়া খেয়ে ফেলে যাওয়া প্রায় পাঁচটি গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হন গৃহস্থরা।

ভুক্তভোগীরা জানান, গরু চুরির পর কোথায় নিয়ে যায় তাও বুঝতে পারছে না কেউ। এসব ঘটনায় থানায় খুব কম অভিযোগ জমা পড়ে। অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিকার না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ করেন না। গত এক মাসে হঠাৎ এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে তাঁরা জানান। এ ঘটনায় গরু হারিয়ে হতদরিদ্র কৃষক পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।

জুনিয়াদহ গ্রামের খন্দকার এজাজ বলেন, প্রতিদিন চুরির মাত্রা বাড়ছে। গরু ছাড়াও ভ্যান, নছিমন, অটোরিকশা এমনকি গাছের ডাব পর্যন্ত চুরি হচ্ছে। পদ্মাপাড় ও উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে।

রাত জেগে পালাক্রমে এলাকা পাহারা দিচ্ছেন মোকারিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের খেমিরদিয়ার গ্রামের কৃষক আনতাজ আলী, মাজদার হোসেন, স্বপন ও সোহেল। তাঁরা বলেন, `ফেলা নামে একজনের বাড়িতে গরু চুরি করতে আসে চোর। পরে ধাওয়া দিয়ে গরু উদ্ধার করা হয়। রাজিব ও মজিবের ভ্যান, সাইকেল ও রুবেলের পাম্প মেশিন চুরি হয়েছে। আমরা প্রতিদিন রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি।’

চাঁদগ্রামের কৃষক বিপ্লব হোসেন বলেন, গত শনিবার রাতে আমার বাড়ি থেকে গাভি ও বাছুর চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্র। এর কয়েক দিন আগে আমার চাচার গোয়াল থেকে গাভি ও বাছুর চোর চুরি করে নিয়ে যায়। আমি গাভি পালন করে দুধ বিক্রি করে কোনো রকমে সংসার চালাতাম। চুরি যাওয়া দুই গরুর দাম প্রায় দুই লাখ টাকা বলে তিনি জানান।

ভেড়ামারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আকিবুল ইসলাম বলেন, সবে মাত্র এ থানায় যোগদান করেছি। চুরি, ছিনতাই সহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমি আন্তরিক চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে তিনি জানান।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ