Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

মেঘালয়ের মেঘে শঙ্কা বাড়ছে হাওরে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

মেঘালয়ের মেঘে শঙ্কা বাড়ছে হাওরে

ভারতের মেঘালয়ে সপ্তাহখানেক ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষক হাঁপ ছেড়েছিলেন। কেননা ১ এপ্রিল থেকে মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে প্রায় আট হাজার হেক্টর জমির বোরো খেত নষ্ট হয়েছে। এরপর বৃষ্টি না হওয়ায় সেই ভাঙা বাঁধ সংস্কার শুরু হয়েছিল। বাঁধ সংস্কার হলে বাকি ফসল রক্ষা পাবে, এ আশা করছিলেন সেখানকার কৃষক। কিন্তু ফের চোখ রাঙাচ্ছে মেঘালয়ের মেঘ। সেই সঙ্গে শঙ্কা বাড়ছে হাওরপাড়ের কৃষকদের।

সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে এবার ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু ১ এপ্রিল থেকে মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টির ফলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে হাওরের ১১টি ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর বোরো ফসল নষ্ট হয়েছে। কিন্তু সপ্তাহখানেক ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমে গেছে। তবে শতাধিক ফসল রক্ষা বাঁধ এখনো ঝুঁকির মুখে আছে। কৃষকেরা দিনরাত একাকার করে ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করছেন। তবে বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখে এবং প্রশাসনের আহ্বানে হাওরপাড়ের কৃষক ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও ৯০ শতাংশ জমির ধানই কাটার উপযোগী হয়নি।

এদিকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং অন্যান্য বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থা থেকে প্রাপ্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলতি সপ্তাহে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হয়েছে। ১০ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম (বরাক অববাহিকা) এবং মেঘালয় প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দুই দিন সুনামগঞ্জ তথা ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল রোববার ভোর থেকে সুনামগঞ্জে মুষলধারে বৃষ্টিও হয়েছে। সেই সঙ্গে বজ্রপাতও হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে হাওরের ধান দ্রুত কাটার আহ্বান জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের ডিসি জাহাঙ্গীর হোসেন। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে তিনি এই আহ্বান জানান। হাওরাঞ্চলের ধান দ্রুত কাটার জন্য ৩৬৪টি হারভেস্টর ও রিপার মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।

ফলে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, জাদুকাটা, লুভাছঢ়া, সারিগোয়াইন, ধলাগাং, পিয়াইন, ঝালুখালী, সোমেশ্বরী, ভুঘাই-কংস, ধনু-বাউলাই নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে অনেক স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

এর ফলে এই সময়কালের শেষার্ধে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কয়েক স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে একটি ঢলের কারণে হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আরেকটি পূর্বাভাসের ফলে যদি এমন বৃষ্টিপাত হয়, তাহলে বাঁধ উপচে হাওরে পানি প্রবেশ করার শঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা অঞ্চলসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ