নীলফামারী জলঢাকায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ কেজি চালের কার্ড নবায়নে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে ৫০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ করেন।
জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। কার্ড নবায়ন বা ডেটাবেইস তৈরিতে টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। ডেটাবেইস তৈরি হবে বিনা মূল্যে। লিখিত অভিযোগ ও প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২ নম্বর ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের অসহায় হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ১৮টি কার্ড বরাদ্দ রয়েছে। সেই কার্ড নবায়ন ও ডেটাবেইস তৈরির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মৃণাল চন্দ্রের কাছে যান কার্ডধারীরা। এ সময় উদ্যোক্তা ইউপি সদস্য কালটু মামুদের কাছে কার্ড নবায়নের অনুমতির জন্য পাঠান। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য অনলাইনে ডেটাবেইস তৈরি করা বাবদ ৫০০ টাকা করে দাবি করেন।
ভুক্তভোগী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাহিদা বেগম বলেন, চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের নির্দেশে কার্ড নবায়ন করার জন্য ৫০০ টাকা করে চেয়েছেন ইউপি সদস্য কালটু মামুদ। তিনি জানান, ৪৯৯ টাকা দিলেও কাজ হবে না।
অন্যদিকে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘আমি মানুষকে টাকা দিই। আমি মানুষের টাকা নেব কেন? কার্ডধারীদের এমন অভিযোগ সত্য নহে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মহৎ এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।