আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫১৬টি পদের জন্য সারা দেশ থেকে ৬০০ চাকরিপ্রার্থীকে বাছাই করে তাঁদের সঙ্গে চুক্তি করেছিল প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্র। প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নেয় তারা। শেষ পর্যন্ত যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের নিয়ে রাজধানীর তিনটি এলাকায় বুথ করেছিল চক্র। প্রশ্নপত্র দেওয়ার আগে চাকরিপ্রার্থীদের সনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই করত তারা।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের এই চক্র পুরোনো। গাড়িচালক আবেদ আলী চক্রটি সৃষ্টি করেছিলেন।
এবারও তারা রেলওয়ের নন-ক্যাডার নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁস করার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করে। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) উপপরিচালক (ডিডি) আবু জাফর ও ডেসপাচ রাইডার সাজেদুল ইসলামের সঙ্গে দুই কোটি টাকায় চুক্তি করে।
এ নিয়ে দফায় দফায় পিএসসির ভেতরের টয়লেট ও সিসি ক্যামেরা নেই এমন জায়গায় ডিডি আবু জাফর ও সাজেদুল বৈঠক করেন।তাঁদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী অভিযুক্ত গ্রেপ্তার অন্যরা সারা দেশ থেকে পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করেন। রেলওয়ের ৫১৬ পদের জন্য ৬০০ জনের সঙ্গে তারা চুক্তি করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ৬০০ জন তারা পায়নি। ৫০ থেকে ৬০ জন কম ছিল। প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা নেয়। তাঁদের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের বিভিন্ন বাড়িতে রেখে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল।
সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘আমরা এখনো কয়েকজনকে খুঁজছি, যাঁরা সরাসরি প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের পর এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানানো যাবে।’
সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে পিএসসির সাবেক এডি নিখিল চন্দ্র রায়, দালাল শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া, দীপক বনিক, খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো. সুমন, এ কে এম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, গোলাম হামিদুর রহমান, মুহা. মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এ টি এম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথ ছিলেন। তাঁরা নিজ নিজ এলাকা থেকে পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করেছিলেন।
আরও খবর পড়ুন: