মাগুরা সদর উপজেলার বাসিন্দা রিপন বিশ্বাস (৩৫) নিখোঁজ রয়েছেন ১১ দিন। তিনি কীভাবে নিখোঁজ হলেন, ১১ দিন পার হলেও তা পরিবারের অজানা।
গত ৩০ জানুয়ারি রাত থেকে নিখোঁজ তিনি। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীতে আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক।
জানা যায়, রিপন বিশ্বাসের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার আঠারোখাদা ইউনিয়নের কৃষ্ণবিলা গ্রামে। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার শেখ হাসিনা সেতুর ওপর থেকে রিপন বিশ্বাসের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন থেকেই বন্ধ রয়েছে তাঁর মোবাইল ফোন নম্বর। পরে এ নিয়ে মহম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রিপনের স্ত্রী শিপ্রা বিশ্বাস।
রিপনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৯ বছর ধরে বোয়ালমারী এলাকায় বিকন ফার্মায় চাকরি করছিলেন রিপন। ৩০ জানুয়ারি শাশুড়ি অসুস্থ থাকায় তাঁর মাগুরায় আসার কথা ছিল। বিকেলে স্ত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনে এ নিয়ে তাঁর কথা হয়। তবে সন্ধ্যা থেকে তাঁর মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ৩০ জানুয়ারি রাতে তাঁর পরিবার খবর পায় মহম্মদপুর শেখ হাসিনা সেতুর ওপর সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেখানে রিপনের মোটরসাইকেল পড়ে থাকলেও তাঁকে কোথাও পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে মধুমতি নদীতে উদ্ধারকর্মীরা কয়েক দিন ধরে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েছে। চালকের সন্ধান মেলেনি।
স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেলটি সেতুর রেলিংয়ের পাশে পড়ে ছিল। তার পাশে ছিল একটি হেলমেট ও ব্যাগ। পুলিশ সব উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক ধারণা মতে, রিপন ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কেউ কেউ বলছেন, রিপন নদীতে পড়ে যেতে পারেন। সেই সন্দেহে গত সোমবার দুপুরে মহম্মদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মধুমতি নদীতে খোঁজ করেও তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি।
গত ১১দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও কোথাও রিপনের খোঁজ পায়নি তাঁর পরিবার। পুলিশও এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান দিতে পারেনি।
রিপনের স্ত্রী শিপ্রা বিশ্বাস জানান, তাঁর জানা মতে রিপনের কর্মক্ষেত্রে বা ব্যক্তিগত কোনো ঝামেলা ছিল না। তাই তাঁর সঙ্গে আসলে কী হয়েছে, কিছুই ধারণা করতে পারছেন না তিনি।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, যে স্থানে মোটরসাইকেলটি পাওয়া গেছে সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের চলাচল থাকে। সেখানে ধস্তাধস্তি বা দুর্ঘটনার মতো কোনো ঘটনা কারও চোখে পড়েনি। প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ নানাভাবে তদন্ত করছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে পুলিশ।