ইলিশ ধরায় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞামুক্ত এখন নদ-নদী। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরেই সবচেয়ে বেশি ইলিশ ধরা পড়ে। জেলেরা তাই মেঘনা, কালাবদর ও কীর্তনখোলায় মাছ ধরায় ব্যস্ত। কিন্তু ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের তেমন একটা দেখা মিলছে না। অবশ্য সাগর মোহনায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে।
টুমচরের কালাবদর নদীতে রোজ মাছ ধরেন রিয়াজ হোসেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, ইলিশ পেয়েছেন চার-পাঁচটি। তবে বড় সান্ত্বনা, কোনো বাধা নেই মাছ ধরায়। তাঁদের এলাকায় দুই শতাধিক জেলে ইলিশ ধরেই সংসার চালান।
মেহেন্দীগঞ্জের মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকার করেন জামাল ও কামাল দুই ভাই। তাঁরা জানান, জেলেপাড়ায় এ মৌসুমে অনেক আশা। দাদন মেটাতে হবে, সংসারের খরচ ওঠাতে হবে।
চরমোনাই-সংলগ্ন কীর্তনখোলায় মাছ ধরেন রশিদ মাঝি। তিনি জানান, সারা বছরই এ সময়টায় ইলিশের আশায় থাকেন। এবারও নদীতে নেমেছেন। বছরের বড় সময়ই নিষেধাজ্ঞা। তাঁরা সরকারি সহায়তা যা পান, তাতে সংসার চলে না।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, আগামী জো থেকে নদীতেও ভালো মাছ পাওয়া যাবে।
বরিশাল নগরের পোর্ট রোড মৎস্য মোকামের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, নদীর ইলিশ কম, তবে সাগরে ধরা পড়ছে। গত কয়েক দিন হাজার মণের মতো ইলিশ উঠেছে মোকামে। এর মধ্যে ২০০ মণের মতো নদীর ইলিশ।
বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ১ জুলাই থেকে আগামী ৩ মাস নদ-নদীতে উন্মুক্তভাবে ইলিশ ধরায় বাধা নেই। আগামী জোতে ইলিশ বাড়তে পারে। তবে নদীতে এখন ইলিশ কম।