মৌলভীবাজারের বড়লেখার দৌলতপুর-অফিসবাজার এলজিইডি রাস্তার পাশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত শনিবার পাঁচজনের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ এনে স্থানীয় ইউপি সদস্য এমরানুল হক বাবু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তাঁরা হলেন চরিয়া এলাকার জিল্লুল করিম ময়নুল, নাজমুল করিম মিসকাত, খলিল আহমদ শামীমসহ আরও দুজন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পরিবেশ রক্ষায় ও সড়কের মাটি ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর-অফিসবাজার এলজিইডি সড়কের পাশে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করে। এতে এলাকার সৌন্দর্যবৃদ্ধির পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে রাস্তার পাশের মাটি রক্ষা করে গাছগুলো। কিন্তু গাছ বেড়ে উঠলে অভিযুক্তরা গত দুই মাসে রাস্তার পাশ থেকে বেলজিয়াম-আকাশিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৩৫ থেকে ৪০টি গাছ কেটে নেন। গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়টি শুনে ২৫ মার্চ নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এমরানুল হক বাবু সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে রাস্তার পাশের গাছ কেটে নেওয়ার সত্যতা পান।
ইউপি সদস্য এমরানুল হক বাবু বলেন, অভিযুক্তরা কয়েক বছর আগেও একবার সড়কের পাশে থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়েছিলেন। গাছ কেটে নেওয়ার সত্যতা পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী তাঁর কার্যালয়ে তাঁদের ডেকে নেন। তখন তাঁরা প্রকৌশলীর কাছে ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যতে আর গাছ কাটবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছিলাম। এলাকায় এসে শুনি, তাঁরা রাস্তার পাশের ৩৫-৪০টা গাছ কেটে নিয়েছেন। পরিদর্শনে গিয়ে গাছ কেটে নেওয়ার সত্যতা পেয়েছি। গাছ কেটে নেওয়ার কারণ জানতে চাওয়ায় তাঁরা আমাকে হুমকি দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে খলিল আহমদ শামীম বলেন, ‘দৌলতপুর-অফিসবাজার সড়কের গাছগুলো আমরা লাগিয়েছি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকায় কথা বলতে পারেননি।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী প্রীতম সিকদার জয় বলেন, ‘সড়কের পাশ থেকে গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’