রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসের সামনের বাজারে ফুটপাতে বসেছিলেন মুক্তার আলী ও ফারুক হোসেন। সেখানেই সাইকেল মেরামতের কাজ করেন মুক্তার। আর রাস্তার বিপরীতে লন্ড্রির দোকান ফারুকের। গতকাল মঙ্গলবার দুজনেরই কাজ নেই বলে আড্ডা দিচ্ছেন। আলোচনার বিষয়বস্তু আসন্ন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর শহরে এখন পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে এমন ভোটের আলোচনা শুরু হয়েছে। বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সফলতা-ব্যর্থতার বিশ্লেষণও করছেন মানুষ। চলছে পাওয়া-না পাওয়ার হিসাবও।
এদিকে প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে কোনো হিসাব-নিকাশে নেই আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা বর্তমান মেয়র ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে প্রার্থী হিসেবে ধরে নিয়েছেন। সোমবার এক সভায় নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল সে ঘোষণাও দিয়েছেন।
অবশ্য নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন।
ডাবলু সরকারের মতে, দলীয়প্রধান চাইলে তিনি প্রার্থী হবেন। না চাইলে প্রার্থী হবেন না। যিনি নৌকা প্রতীক পাবেন, তাঁর জন্যই ভোটে কাজ করবেন। প্রার্থিতা প্রসঙ্গে খায়রুজ্জামান লিটন অবশ্য নিজের কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। দলের সভানেত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটিই চূড়ান্ত বলে তিনি জানিয়েছেন।
এবার নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেই বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। জাতীয় পার্টির জি এম কাদের অনুসারী নেতারা অবশ্য সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে দলের মহানগরের সাবেক সভাপতি সাহাবুদ্দিন বাচ্চুকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন। এর বিরোধিতা করেন জাতীয় পার্টির নেতা রওশন এরশাদের অনুসারীরা। তাঁরা অন্য একজনকে প্রার্থী দেবেন বলে জানিয়েছেন।